বাঙালী জাতির জীবনে এক ঐতিহাসিক দিন ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস

0
362

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ওয়ারী থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি, ঢাকা-৬ (সূত্রাপুর-কোতোয়ালী) আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, ব্যবসায়ী, শিক্ষানুরাগী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু বলেছেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর তাঁর সুযোগ্য কন্যা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে পেয়েছি অর্থনৈতিক মুক্তি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে দেশে সকল খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের মডেল।
তিনি আরও বলেন, ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য এক দিন ১৭ এপ্রিল। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এদিনে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। বৈদ্যনাথ তলাকেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। অস্থায়ী সরকারের সফল নেতৃত্বে ৯ মাসের সশস্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। জাতি যথাযোগ্য মর্যাদায় মুজিবনগর দিবস উদযাপন করে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর বর্বরোচিত হামলা চালানোর পর একই বছরের ১০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্ররূপে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা ঘোষণা করা হয়। এ দিন ঘোষিত ঘোষণাপত্রে ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন ও অনুমোদন করা হয়। ঘোষণাপত্রে সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি এবং সৈয়দ নজরুল ইসলামকে প্রজাতন্ত্রের উপ-রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি এবং সৈয়দ নজরুল ইসলামকে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়)। এছাড়াও তাজউদ্দিন আহমেদ অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী, খন্দকার মোশতাক আহমেদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী এবং এএইচএম কামারুজ্জামান স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী নিযুক্ত হন।
অপরদিকে, জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী অস্থায়ী সরকারের মুক্তিবাহিনীর প্রধান কমান্ডার এবং মেজর জেনারেল আবদুর রব চিফ অব স্টাফ নিযুক্ত হন। ১১ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বেতার ভাষণ দেন, যা আকাশবাণী থেকে একাধিকবার প্রচারিত হয়। তাজউদ্দিনের ভাষণের মধ্যদিয়েই দেশ-বিদেশের মানুষ জানতে পারে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম পরিচালনার লক্ষ্যে একটি আইনানুগ সরকার গঠিত হয়েছে। পথপরিক্রমায় ১৭ এপ্রিল সকালে মুজিবনগর আম্রকাননে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথগ্রহণের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পরের দিন দেশ-বিদেশের পত্র-পত্রিকা এবং সংবাদ মাধ্যমে যে খবরটি ছাপা হয় তাহলো ‘১৭ এপ্রিল শপথগ্রহণ হলো বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক সূচনা বা আনুষ্ঠানিকতা। অস্থায়ী রাষ্ট্র প্রধানদের গার্ড অব অনার প্রদান করেন স্থানী আনসার ক্যাম্পের ১২ জন সদস্য। এদিন দেশ বিদেশের সাংবাদিক, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ ভারতীয় হাজারো সেনাসহ এলাকার মুক্তিকামী মানুষ উপস্থিত হন। গার্ড অব অনার প্রদানের পর পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশের সুচনা হয়। বাঙালী জাতির জীবনে এক ঐতিহাসিক দিন ১৭ এপ্রিল। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রথম সরকার দেশী-বিদেশী সাংবাদিকের সামনে শপথ গ্রহণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পালন শুরু করে। ১৭ এপ্রিল সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা প্রতিভাসিত হয়ে ওঠে। এই দিবস উপলক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সকল শহীদদের স্মরণ করছি গভীর শ্রদ্ধায়।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here