বাগেরহাট সেটেলমেন্টের কর্মচারীর বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ

0
225

বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা সেটেলমেন্টের নৈশপ্রহরীর বিরুদ্ধে অর্ধ কোটি টাকার সরকারী খাস জমি নিজ নামে রেকর্ড করিয়ে দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহকারি সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগকারীদের লিখিত জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, রামপাল বড়দিয়া গ্রামের মৃত জব্বার মোল্লার ছেলে ইন্তাজ মোল্লা। সে রামপাল উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের নৈশপ্রহরী হবার সুবাদে তার হতদরিদ্র পিতা, ভাই ও বোনদের সরকারি বন্দোবস্তকৃত জমির মাঠ জরিপে দখলস্বত্ব বলবৎসহ আপিলের রেকর্ড প্রদান করা হয়। সেটেলমেন্ট অফিসের  কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজসে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতকারী ওই নৈশপ্রহরী কৌশলে প্রিন্ট পর্চার নথিসহ সকল নথি গায়েব করে ফেলেন। বড়দিয়া মৌজার যাবতীয় কাগজপত্র প্রিন্ট হয়ে আসার পর দেখা গেছে ওই নৈশপ্রহরীর বড়দিয়া মৌজার ডিপি ৬২ ও ৩৪৯ নং প্রিন্ট পর্চা সঠিকভাবে করা হয় নাই। আরও জানা যায়, ওই নৈশ প্রহরী তালবুনিয়া মৌজার ৩৪৫ ডিপিতে ৫ একর ৯০ শতক, বড়দিয়া মৌজার ১২১ ডিপিতে ৮ একর ২৯ শতক জমি নৈশপ্রহরি ইন্তাজ সহ কয়েকজনে রেকর্ড করিয়ে নিয়েছে। এছাড়া বড়দিয়া মৌজার ৬২ নং ডিপি ৯৫৫ দাগের ২১ শতক জমি তার পিতার নামে রেকর্ড থাকলেও ওই জমি সরকারের নামে রেখে নিজে ভোগদখল করে আসছেন। এছাড়াও সে এসএ ৪৫৪ এর ৫৩২, ৯৫৪ ও ৯৫৫ দাগের মধ্যে মোট ১ একর ২৫ শতক সরকারি জমি তার দলিল ছাড়া অবৈধভাবে দখল করেছেন বলে তহশীলদারের রিপোর্টে দেখা গেছে। বড়দিয়া মৌজার পাবলিক লিষ্ট এখনও সম্পন্ন হয়নি। ভুক্তভোগীরা আরও জানান, ওই নৈশপ্রহরী স্কুলেই যায় নাই। তার বর্তমান বয়স প্রায় ৬০ বছরের কাছাকাছি। তিনি কি করে ৭/৮ বছর আগে জালিয়াতের মাধ্যমে নৈশ প্রহরীর চাকুরী নিয়েছেন এ প্রশ্ন অভিযোগকারীদের। তার ডিউটি রাতে হলেও সে অফিস চলাকালীন সময় অফিসের নথি ও রেকর্ড রুমের কাগজপত্র কিভাবে চর্চা করেন ? শুধু তাই নয়, রেকর্ড রুমের চাবি ও কি করে তার কাছে থাকে ? এসব অভিযোগের বিষয়ে নৈশপ্রহরী ইন্তাজ মোল্যা কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভুল করে অফিসাররা তার নামে কিছু খাস জমি রেকর্ড করে দিয়েছেন। বিভিন্ন মৌজায় কিভাবে এত পরিমান সরকারি জমি রেকর্ড হলো এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এর পক্ষে কোন সদুত্তোর দিতে পারেননি। ভাই বোনের জমির রেকর্ড পর্চা গায়েব ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নৈশপ্রহরীর চাকুরী নেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে সহকারি সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা মো: শফিকুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, অভিযোগকারী ভুক্তভোগীদের জমি রেকর্ড করাতে হলে এখন থেকে আর নতুন করে কোন সংশোধনী দেওয়া যাবে না। তাদের ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুনালে যেতে হবে। অবৈধভাবে নৈশপ্রহরী ইন্তাজ মোল্যা বিপুল পরিমান সরকারি সম্পত্তি রেকর্ডের মাধ্যমে আত্মসাতের বিষয়ে ও ভুয়া তথ্য প্রদান করে নৈশপ্রহরীর চাকুরী নেওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি জানান, আমার পূর্ববর্তী অফিসাররা কিভাবে এটা করেছেন তা আমি বলতে পারবোনা। তবে নৈশ প্রহরী ইন্তাজ মোল্যার চাকুরী মাষ্টাররোলের। তার চাকুরী পুনরায় নবায়ন করা হবেনা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here