বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
ঝিমিয়ে পড়া বিআরটিয়ে আর ঘুমিয়ে থাকা মানুষদের এক ঝাটকায় জাগিয়ে দিলো ছাত্রদের নিরাপদ সড়কের দাবিতে দেশজুড়ে আন্দোলন। ছাত্রদের দাবি মেনে সরকারও আইনের ব্যবহার এবং প্রয়োগে জন্য বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহ ঘোষণা করলেন।ফলে ঘুমিয়ে থাকা সকল প্রকার গাড়ী মালিক ও চালকরা ঝামেলা এড়াতে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) অফিসে ভীড় জমিয়েছে। দেশে সকল বিআরটিএ অফিসেই বেড়েছে কাজের চাপ। বাগেরহাট বিআরটিএ অফিসে কাজের চাপ বাড়লেও জনবল সংকটের কারণে কেউই সময়মতো সেবা পাচ্ছেন না। হঠাৎ সেবাগ্রহীতার ভিড় বাড়ায় হিমশিম খাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু হবার পর থেকেই মানুষ সচেতন হয়েছে। সড়কে চলার আইন মানতে ভীড়জামাচ্ছে বিআরটিএ অফিসে তবে গতকাল দুপুরে বাগেরহাট শহরের পুরনো কোর্ট চত্বর এলাকায় বিআরটিএর অফিসে ভীড় ছিলো চোখেপড়ার মত। প্রতিদিনই ভীড় বাড়ছে বলে জানান কর্মকর্তারা। জনবল সংকটেরকারণে ভোগান্তি শিকার হচ্ছে সেবা নিতে আসা মানুষ জন।
তেমনি ভোগান্তির শিকার আল আমিন বলেন ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ছবি তুলতে আসা, আমি সব কাজ শেষ করেছি। শুধু ছবি তোলা বাকি। দুদিন এসে ঘুরে যাই কিন্তু কাজ হয় নাই ছবি তোলার লোক নেই। তৃতীয় দিন এসে অবশ্য ছবি তুলতে পেরেছি।গাড়ির ফিটনেসের জন্য আসা রহিম উদ্দিন বলেন, গাড়ির ফিটনেসের জন্য এসেছি। এখানে অফিসের লোকদেরই পাওয়া যায় না! অফিসের পিয়ন খালি বলে, স্যার নেই।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিআরটিএ অফিসের মোটরযান পরিদর্শক মেহেদী হাসান জনবল সংকটের কথা বলেন। তিনি বলেন, বাগেরহাট অফিসে একজন করে সহকারী পরিচালক, মোটরযান পরিদর্শক, উচ্চমান সহকারী, অফিস সহকারী ও এলএমএসএস মিলে মোট পাঁচটি পদ আছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদ উচ্চমান সহকারী ও অফিস সহকারী। এ দুটি পদই শূন্য। এ কারণে আমরা পর্যাপ্ত সেবা দিতে পারছি না। লাইসেন্স প্রত্যাশীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে ছবি তোলা। অফিস সহকারী না থাকায় বর্তমানে ছবি তোলা বিঘিœত হচ্ছে।
এছাড়া সহকারী পরিচালক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন খুলনা বিআরটিএর সহকারী পরিচালক আবুল বাশার। তিনি প্রতি সপ্তাহে শুধু বৃহস্পতিবার বাগেরহাটে অফিস করেন। কিন্তু গতকাল তার আসার কথা থাকলেও আসেননি। পরিদর্শক মেহেদী হাসান আরো বলেন, আমরা এখানে গাড়ি ও গাড়ির চালকের লাইসেন্স, শিক্ষানবিশ লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেস, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স নবায়ন করে থাকি। গত তিন দিনে বিভিন্ন সেবার জন্য ১৪৪টি আবেদন জমা পড়েছে। সকাল ৯টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কাজ করছি। তার পরও কাজ শেষ করতে পারছি না। লোকজন এসে ভিড় জমাচ্ছে।
খবর ৭১/ইঃ