বাগেরহাট প্রতিনিধি:
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের পর মোটরযানের লাইসেন্স ও কাগজপত্র নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। আর এর ঝামেলা থেকে রেহাই পেতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) অফিসে ভীড় করছেন মটরযান চালক ও মালিকরা। তবে জনবল সংকটের কারনে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন বাগেরহাট বিআরটিএ অফিসে কর্তা ব্যক্তিরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট শহরের পুরাতন কোর্ট চত্ত্বর এলাকার বিআরটিএ-র অফিসে লাইসেন্স প্রত্যাশীদের ভীড় দেখা গেছে। প্রতিনিয়ত ভীড় বাড়ছে। তবে জনবল সংকটের কারণে দ্রæত কার্যকর সেবা পাচ্ছেন না লাইসেন্স প্রত্যাশীরা। ড্রাইভিং লাইসেন্সের ছবি তুলতে আসা আল আমিন বলেন, আমি সবকিছু সম্পন্ন করেছি। দুইদিন ছবি তুলতে এসেও ছবি তুলতে পারিনি। তৃতীয় দিন আমার ছবি তুলেছেন। গাড়ির ফিটনেসের জন্য আসা রহিম উদ্দিন বলেন, গাড়ির ফিটনেসের জন্য এসেছি। এখানে অফিসের লোকদেরই পাওয়া যায় না। অফিসের যে পিয়ন আছেন উনি শুধু বলেন স্যার নেই।
বিআরটিএ অফিসের মটরযান পরিদর্শক মেহেদী হাসান বলেন, বাগেরহাট অফিসে একজন করে সহকারি পরিচালক, মটরযান পরিদর্শক, উচ্চমান সহকারি, অফিস সহকারি ও এলএমএসএস মিলে মোট ৫টি পদ আছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ন দুটি পদ উচ্চমান সহকারি ও কারিগরি সহকারির পদ শুন্য থাকায় আমরা পর্যাপ্ত সেবা দিতে পারছি না। লাইসেন্স প্রত্যাশীদের সব থেকে গুরুত্বপূর্ন কাজ হচ্ছে ছবি তোলা। অফিস সহকারি না থাকায় বর্তমাণে ছবি তোলা বিঘিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমরা এখানে গাড়ি ও গাড়ির চালকের লাইসেন্স, শিক্ষানবিশ লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেস, গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন বা লাইসেন্স নবায়ন করে থাকি। গত ৩ দিনে বিভিন্ন সেবার জন্য ১‘শ ৪৪টি আবেদন জমা পড়েছে। সকাল ৯টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কাজ করছি। তারপরও কাজ শেষ করতে পারছিনা। লোকজন এসে ভীড় জমাচ্ছে।
এছাড়াও এ অফিসে সহকারি পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন খুলনা বিআরটিএ অফিসের সহকারি পরিচালক আবুল বাশার। তিনি অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকার কারণে সপ্তাহের শুধূ বৃহস্পতিবার বাগেরহাটে অফিস করেন। তবে বৃহস্পতিবার তিনি অফিসে আসেননি।
খবর৭১/এসঃ