বাগেরহাটে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ

0
208

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বি,কে, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পরিক্ষায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। একই বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক অপু রানী দাসকে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র গাইন নিয়োগ পরিক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ নানা ধরনের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। তবে প্রধান শিক্ষক এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
নির্বাচনী পরিক্ষায় অংশ নেয়া প্রার্থীরা জানান, গত বুধবার (১ আগষ্ট) মোরেলগঞ্জ উপজেলার বাঁধাল বাজারে অবস্থিত বি,কে, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পরিক্ষা মোরেলগঞ্জ সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এই পরিক্ষায় ৫ জন প্রার্থী অংশগ্রহন করে। লিখিত পরিক্ষার সময় প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র গাইন বিভিন্ন প্রার্থীদের খাতা দেখে অপু রানী দাসকে লিখতে সহায়তা করেছেন। এসময় অন্য প্রার্থীরা বিষয়টি বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বিনয় কৃষ্ণ দাসকে জানালে তিনি এটি না করার অনুরোধ জানান। কিন্তু সেই অনুরোধে কর্ণপাত করেনি প্রধান শিক্ষক।
নির্বাচনী পরিক্ষায় অংশ নেয়া বাবুল কুমার চন্দ শনিবার সকালে সাংবাদিকদের জানান, প্রধান শিক্ষকের অস্বভাবিক আচারনে আমরা মর্মাহত হয়েছি। পরে খোজ নিয়ে জেনেছি, তিনি তার পছন্দের প্রার্থী অপু রানী দাসকে নিয়োগ নেয়ার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করেছেন। নিয়োগ বোর্ডের কয়েকজন সদস্য মিলে আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস করে অপু রানী দাসকে প্রস্তুতি নেয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
অপর এক প্রার্থী পলাশ ঘরামী জানান, ‘ লিখিত পরিক্ষার সময় আমার খাতার উচ্চতর গনিতের উত্তরগুলো প্রধান শিক্ষক দেখে গিয়ে অপু রানী দাসকে সহায়তা করেছেন। আমি বার বার নিষেধ করলেও তিনি শোনেনি।পরে খোজ নিয়ে জানতে পেরেছি নিয়োগ পরিক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন প্রধান শিক্ষক। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি নিরপেক্ষ পরিক্ষা হলে ওই প্রার্থী থেকে আমি অনেক বেশি নাম্বার পারো।’
এবিষয়ে জানতে চাইলে বি,কে, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রার্থী অপু রানী দাস বলেন, আমাকে কেউ সহায়তা করেনি। তিন মাস ধরে পড়াশোনা করে পরিক্ষা দিয়েছি।
প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র গাইন তার বিরুদ্ধে করা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অপু রানী দাস সবচেয়ে বেশি নাম্বার পেয়েছেন। এখানে কোন প্রতারণার আশ্রয় নেয়া হয়নি।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বিনয় কৃষ্ণ গাইন বলেন, বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান ধরে রাখতে আমরা চেয়েছি একজন যোগ্য শিক্ষককে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিতে। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তার পছন্দের প্রার্থী আমাদের বিদ্যালয়ের হিন্দু ধমীয় শিক্ষক অপু রানী দাসকে নিয়োগ দেয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নপত্র আগে থেকেই ফাঁস করে অপু রানী দাসকে প্রস্তুতির সুযোগ দিয়েছেন। পরিক্ষার আগে তাকে ৩দিনের ছুটি দিয়ে এসব প্রশ্নের উপর প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। বিষয়টি জানান পর আমি নিয়োগ পরিক্ষার কোন কাগজপত্রে স্বাক্ষর করিনি। বিদ্যালয়ের সুনাম ধরে রাখতে একজন মেধাবী শিক্ষককেই সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া খুবই প্রয়োজন।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here