বাগেরহাটে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ্যের পদত্যাগের দাবিতে মিছিল

0
413

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের রামপালের ইসলামাবাদ ছিদ্দিকীয়া ফাযিল ডিগ্রী মাদ্রাসা অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবীতে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাযিল ও কামিল মাদ্রাসার অধিভূক্তির দূরত্ব সংক্রান্ত বিধিমালার ২ এর ২ (ক) ধারার লংঘন পূর্বক রামপাল উপজেলার ইসলামাবাদ ছিদ্দিকীয়া ফাযিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার মাত্র ৪ কিলোমিটারের মধ্যে শরাফপুর কারামতিয়া আলিম মাদ্রাসার ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ফাযিল (স্নাতক) পর্যায়ে পাঠদানের অনুমতির বিরুদ্ধে আইনী লড়াইয়ে অস্বীকৃতি জানাবার জন্য ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মকবুল হোসেন খানের পদত্যাগের দাবী জানিয়ে শনিবার দুপুর ১২টায় মাদ্রাসা ক্যাম্পাস ও সংলগ্ন রাস্তায় এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মাদ্রাসা কমিটির নেতৃবুন্দ,এলাকাবাসী,শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীরা এ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন। জানা গেছে, আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) মাদ্রাসা পরিদর্শক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ ছিদ্দিকী কর্তৃক ৯ মে স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ইসলামাবাদ ফাযিল মাদ্রাসার মাত্র ৪ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত শরাফপুর আলিম মাদ্রাসাকে ফাযিল (স্নাতক) পাঠদান কার্যক্রমের অনুমতি প্রদান করা হয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে শনিবার বেলা ১১ টায় ইসলামাবাদ ফাযিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভা কমিটির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নূরুজ্জমান মঞ্জুর সভাতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নিয়মের বাইরে  অনুমোদনের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনে কমিটির সদস্যবৃন্দ অনুরোধ জানালে অধ্যক্ষ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে অস্বীকৃতি জানান। তাৎক্ষনিকভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে কমিটির নেতৃবৃন্দ,অবিভাবক, ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষক ও এলাকাবাসীর অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিলে ফেটে পড়ে। মিছিলটি মাদ্রাসা ক্যাম্পাস ও সংলগ্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে মাদ্রাসা গেটে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কমিটির সহসভাপতি আলহাজ্ব এস.এম নূরুজ্জামন মঞ্জু, শিক্ষানুরাগী সদস্য আলহাজ্ব এস এম নূরুল হক কচি, সদস্য ও সাবেক ইউপি সদস্য মহিদুল ইসলাম, আঃ খালেক প্রমুখ। বক্তাগন বলেন, সম্পুর্ন বে-আইনীভাবে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা লংঘন করে শরাফপুর মাদ্রাসায় ফাযিল (স্নাতক) শ্রেণি খুললে অত্র মাদ্রাসাটির অপূরনীয় ক্ষতি হবে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় বিধি অনুযায়ী ফাযিল মাদ্রাসার ১০ কিলোমিটারের ব্যাসার্ধের মধ্যে আর একটি ফাযিল মাদ্রাসা অনুমোদনের সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে আইনী ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় মকবুল হোসেনের অধ্যক্ষের পদে বহাল থাকার কোন অধিকার নেই। অভিযোগের ব্যপারে মতামত জানতে চাইলে অধ্যক্ষ মকবুল হোসেন খান সাংবাদিকদের কাছে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। এলাকাবাসী ও অবিভাবকগন বিধি বহির্ভূত এ অনুমোদন বাতিলের দাবী জানিয়েছেন। এ ব্যপারে শরাফপুর কারামতিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ অলিউর রহমানের মতামত জানতে চাইলে তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে অনুমোদন দিয়েছে তার ডকুমেন্ট আমার কাছে আছে। কিভাবে দিয়েছে তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানেন। এ ব্যাপারে আমার কোন দায়বদ্ধতা নেই।

খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here