বাগেরহাটে নয় বছরে ৫৪ হাজার অন্ধত্ব থেকে মুক্তি

বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটে নয় বছরে ৫৪ হাজার ২’শ জন চোখের রোগি অন্ধত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছে। এরমধ্যে ৪ হাজার ২ শতাধিক রোগীর ছানি, নেত্রনালী, মাংসবৃদ্ধি ও ট্যারিজম অপারেশনের মাধ্যমে সুস্থ্য ও অন্ধত্বের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। এছাড়া ৫০ হাজারের বেশী চক্ষু রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে ক্যাম্পের মাধ্যমে। সর্বশেষ চলতি মাসের ৬ এপ্রিল ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলামের আর্থিক সহযোগিতায় অন্ধত্ব থেকে মুক্তি পেলেন সমাজের সুবিধা বঞ্চিত সাড়ে ৪ শতাধিক মানুষ। এসব রোগি ঢাকা লায়ন্স চক্ষু হাসপাতাল ও খুলনা দিশা আই কেয়ার এর মাধ্যমে সর্ম্পণূ বিনামুল্যে অপারেশন, লেন্স সরবরাহ, ওষুধ ও সেবা দেয়া হয়েছে।
লায়ন ড.ফরিদুল ইসলাম বলেন,‘ গত ৩০ ডিসেম্বর ‘অন্ধত্ব প্রতিরোধ করুন এই শ্লোগান নিয়ে চক্ষু শিবিরে জেলার মোংলা, রামপাল, ফকিরহাট, বাগেরহাট সদর, মোড়েলগঞ্জ, শরনখোলা, পাশের জেলার দাকোপ উপজেলার ৫ হাজার ৩ শত রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়। চক্ষু শিবির থেকে ছানি, নেত্রনালী, মাংসবৃদ্ধি ও ট্যারিজম অপারেশনের জন্য প্রাথমিক ভাবে ৬ শত ৬ জন রোগীকে বাঁছাই করা হয়। বাঁছাইকৃত রোগীদের ব্যক্তিগত অর্থে ৪ শত ৫৬ জন রোগীকে ঢাকা লায়ন্স চক্ষু হাসপাতাল ও খুলনা দিশা আই কেয়ার এর মাধ্যমে ৮ জানুয়ারী থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত বিনামুল্যে অপারেশন, লেন্স সরবরাহ, ঔষধ ও সেবা দিয়ে সর্ম্পণূ সুস্থ্য করে রবিবার তাদের বাড়ী পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন,‘২০০৯ সাল থেকে শুরু করে প্রতি বছর বাগেরহাট অঞ্চলের সুবিধা বঞ্ছিত মানুষের জন্য নিজস্ব অর্থায়ানে চক্ষু শিবির আয়োজন করা হয়। এ পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশী চক্ষু রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা এবং ৪ হাজার ২ শতাধিক রোগীর ছানি, নেত্রনালী, মাংসবৃদ্ধি ও ট্যারিজম অপারেশনের মাধ্যমে সুস্থ্য ও অন্ধত্বের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। সেবা প্রাপ্ত এসব শিশু ছাত্ররা তাদের লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে, কর্মক্ষম রোগীরা তাদের সংসারে আয়-রোজগার করে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছেন। বৃদ্ধরাও আমৃত্যু চোখের আলোতে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পাছেন। আমি মনে করি অনেক বিত্তশালীদের এসব রোগিদের সেবায় এগিয়ে আসলে এলাকা ভিত্তিক চক্ষু রোগি সংখ্যা কমবে। এই সেবা কাজে লায়ন্স এবং রোটারী কøাবের কাছে আমার আবেদন বাগেরহাটের রামপাল-মোংলাসহ প্রত্যান্ত অঞ্চলে মানুষের জন্য কয়েকটি চক্ষু ক্যাম্প করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
খবর ৭১/ এস: