বাগেরহাট প্রতিনিধি:
দেশব্যাপী মাদক বিরোধী অভিযানে বাগেরহাটের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা আত্মগোপনে পুলিশের ধরা ছোয়ার বাইরে। গত কয়েক দিনের অভিযানে বাগেরহাটে মাদকের কোন বড় ব্যবসায়ী আটক হয়নি। যারা আটক হয়েছে তারা প্রায় সবাই মাদকসেবী। আর এই অভিযানের ফলে ইয়াবাসহ অন্য মাদক দ্রব্যের দাম কয়েকগুন বেড়ে গেছে। তবে মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর বলছে মাদকের গডফাদাররা অয়েকজন জেলে আছে, আর যারা বাইরে আছে তারা ঘরবাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার মাত্র ২৩ বোতল ফেন্সিডিলসহ হালিমা বেগম নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর আটক করেছে। আর অভিযানের কারনে আগের মত অনেকটা প্রকাশ্যে মাদক মিলছে না। একারণে মাদকের দাম বেড়েগেছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে।
সুত্রের দাবী, বাগেরহাট শহরের হাড়িখালী পুরাতন রেল লাইন, হাড়িখালী পদ্মপুকুর পাড়, সদর হাসপাতাল এলাকা, মাঝি ডাঙ্গার প্রগতি রাইচ মিল এলাকা, সাবেক ডাঙ্গা, কান্দাপাড়া বট তলা এলাকা, মুনিগঞ্জ মহিলা কলেজ রোড়, হরিনখানা পুরাতন রেল ষ্টেশন এলাকা, সোনাতলা, পচা দিঘীর পাড়, খারদ্বার, আলিয়া মাদ্রাসা রোড়, সম্মিলনী স্কুল মোড়, পুরাতন বাজার মীরেবাড়ি এলাকা, পুরাতন রেল ষ্টেশন, কেবি বাজার চালতে তলা এসব এলাকায় মাদক বিক্রির পয়েন্ট। আর অভিযানের কারনে এরমধ্যে কয়েকটি স্পট গুটিয়ে নিয়েছে ব্যবসায়ীরা। তবে অতি গোপনে বেশি দামে মিলছে ইয়াবা।
বাগেরহাট মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ শরিয়াতুল্লাহ বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের তালিকায় ১০ জন র্শীষ মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে ৩ জন বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। এরমধ্যে ফকিরহাটের আজিম মেম্বর, বাগেরহাটের মুক্ত মীর ও তার স্ত্রী রুলী বেগম ও চিতলমারীর পান্না বিশ্বাস।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাতাব উদ্দিন বলেন, তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীরা অনেকেই অভিযানের খবর জেনে পালিয়ে গেছে। বাগেরহাট সদর উপজেলায় সেরকম কোন বড় মাদক ব্যবসায়ী নেই। তবে অভিযান অব্যহত আছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ সব সময় অভিযান অব্যহত রেখেছে। তবে অনেক মাদক বিক্রেতা পালিয়ে গেছে।
এবিষয়ে বাগেরহাট পৌরসভার প্যানেল মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল বাকী বলেন, বাগেরহাট শহরসহ এর আশপাশ এলাকার প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা কেউ এখনও আটক হয়নি। হয়তো তারা আত্মগোপনে আছে। তবে তাদের খুজে বের করে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
খবর ৭১/ই: