বাগেরহাটের দেশি গরুতেই জমে উঠেছে ২৬টি কোরবানীর পশুরহাট

0
250

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
দাম কিছুটা বেশি হলেও শেষ মুহুর্তে দেশি গরুতেই জমে উঠেছে বাগেরহাটের কোরবানীর পশুরহাট গুলো। জেলার এ হাট গুলেতে বেচা-কেনাও হচ্ছে ভালো। যদিও দাম কিছুটা বেশি পড়ছে তারপরও দেশি গরু কিনে সন্তুষ্টির ঢেকুর তুলছেন ক্রেতারা। আর বিক্রেতারাও বেশি লাভ করতে পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন। সব মিলিয়ে বাগেরহাট জেলার পশুর হাটে কোরবানীর পশুর বেচাকেনা জমে উছেছে। বাগেরহাট জেলায় কোরবানীর পশুর হাট গুলোর মধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলায় রয়েছে ৬টি, মোরেলগঞ্জে ৪টি, শরণখোলায় ২টি, কচুয়ায় ৫টি, রামপালে ১টি, ফকিরহাটে ২টি, চিতলমারীতে ২টি, মোংলায় ২টি ও মোল্লাহাট উপজেলায় ২টি পশুর হাট বসেছে বলে জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানাগেছে। এছাড়াও বেসরকারী হিসাব মতে জেলায় কোরবানীর পশুর জন্য আরো কমপক্ষে ৩৫টি অস্থায়ী হাট রয়েছে।
এদিকে খোজ নিয়ে জানা গেছে, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ক্ষতিকর ইনজেকশন ও ট্যাবলেট ব্যবহার না করে ঘাস-খড়ের পাশাপাশি খৈল, ছোলা ও ভূষি খাইয়ে গরু মোটাতাজা করছেন বাগেরহাটের খামারিরা। আর এ কারনেই স্থানীয় খামারীরা লাভবান হবেন বলে আশা করছেন। তবে জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ বলেছে, তাদের উৎসাহে খামারীরা দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন।
অপরদিকে, জেলার খামারীরা স্থানীয় বাজারের জন্য ৫৫ হাজার গরু ও ৪০ হাজার ছাগল-ভেড়া কোরবানীর জন্য প্রস্তুত রেখেছে বলে নিশ্চিত করেছে বাগেরহাট জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ। আর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বাগেরহাটের ৯টি উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার ডেইরি খামারে খামারীরা গরু মোটাতাজাকরণের প্রক্রিয়া শেষ করে তাদের গরু গুলো হাটে তুলছেন।
বাগেরহাট সদর উপজেলার একাধিক গরু ব্যবসায়ী ও খামারীরা জানান, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এবার দেশীয় পদ্ধতিতে চলছে গরু মোটাতাজা করেছেন তারা। গরুকে প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা ও সুস্থ রাখতে খড়, চিটাগুড়, ভাতের মাড়, তাজা ঘাস, খৈল, গম, ছোলা, খেসারি, মাসকলাই,সয়াবিন খৈল,পালিশ কুড়া ও ভুসিসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হয়েছে। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করা গরুর চাহিদা থাকায় ক্রেতাদের কাছে গরুর বাজার মূল্য বেশ ভালো পাবেন বলে আশা তাদের।
বাগেরহাট জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগের ডা. মো. সাইফুজ্জামান খান জানান, বাগেরহাট জেলার ৯টি উপজেলায় ছোট-বড় সাড়ে পাঁচ হাজার ডেইরি খামারে ব্রাহমা, ফ্রিজিয়ান, সিন্দি, শাহিওয়ালসহ বিভিন্ন উন্নত জাতের গরু পালন হচ্ছে। এছাড়া সব খামারই আমাদের সার্বক্ষনিক মনিটরিং এর মধ্যে থাকে। জেলার খামারীরা কোরবানীর হাটের জন্য ৫৫ হাজার গরু ও ৪০ হাজার ছাগল ও ভেড়া প্রস্তুত রেখেছে। আশা করছি এই পশু স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে বাইরের বাজারেও বিক্রি করা যাবে।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here