বাউফলে ঘরে ইয়াবা রেখে মাকে গ্রেপ্তার কলেজ ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ     

0
259

রাকিব হাসান পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:

বাউফলের আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রারে একটি পরিবারকে ফাঁসাতে ঘরে ইয়াবা রেখে মাকে গ্রেপ্তার ও কলেজ পড়–য়া মেয়েকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় কলেজ পড়–য়া ওই মেয়েকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বাউফলের ডাঃ ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রি কলেজের ¯স্নাতক শ্রেণির ছাত্রী সালমা আক্তার জানান, মঙ্গলবার বিকালে সাদা পোকাশধারী ৫-৭ জনের একদল লোক তাদের আদাবাড়িয়া ইউপির মাধবপুর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে পরিচয় না দিয়েই ঘরে ঢুকে তল্লাশি চালায়। এক পর্যায়ে ওই দলের একজন তার পকেট থেকে কাগজে মোড়ানো একটি পোটলা বেড় করে বলেন, পেয়েছি, ইয়াবা পেয়েছি। এসময় তারা আমার বাবাকে আটকের চেষ্টা করলে তিনি পালিয়ে যান। বাবাকে না পেয়ে তারা আমার মা নাজিমা বেগমকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় আমি তাদের পরিচয় চানতে চাই। এতে তারা ক্ষুদ্ধ হয়ে লাঠি দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। আমি আত্মরক্ষার জন্য তাদের পা জড়িয়ে ধরলে তারা আমকে চুলের মুঠি ধরে টেনে হেচরে নিয়ে যায় এবং চড়থাপ্পর মারে। এক পর্যায়ে  আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা আমার মাকে নিয়ে চলে যায়। খবর পেয়ে আমার দাদা ও চাচারা আমাকে উদ্ধার করে রাত ৯ টার দিকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সালমার চাচা আলমগীর জানান, এ ঘটনার পর তিনি বাউফল থানায় খবর নিয়ে জানতে পারেন, জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব)  ইমাদুল ইসলাম মিঠুনের নেতৃত্বে ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়ছে। তিনি ২৪ পিস ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে তার ভাই আবদুস সালাম ও ভাবী নাছিমা বেগমের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় বুধবার সকালে নাছিমা বেগমকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি দাবি করেন, প্রতিপক্ষরা তার ভাই ও পরিবারের লোকজনকে ফাঁসানোর জন্য জেলা মাদ্রক দ্রব নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালককে ম্যানেজ করে ইয়াবা উদ্ধারের নাটক করা হয়েছে।
বাউফল থানার ওসি মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ইমাদুল ইসলাম মিঠুন বাদি একটি মামলা করেছেন। ঘটনাটি সাজানো কিনা তা বলতে পারবোনা। তবে বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করে দেখা হবে।
জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ইমদাদুল ইসলাম মিঠুনের মোবাইল  ফোনে কল দিলে তিনি বলেন, আমারা কারো দ্বারো প্ররোচিত হয়ে ওই অভিযান চালাইনি। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই অভিযান চালিয়েছি। নির্যাতনের অভিযোগ সত্য নয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here