খবর৭১ঃ
শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এবার সভাপতি পদে স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মৌসুমী। তার বিপরীতে প্যানেল নিয়ে জায়েদ খানকে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রেখে সভাপতি পদে লড়ছেন মিশা সওদাগর। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে স্বতন্ত্রভাবে লড়ছেন অভিনেতা ইলিয়াস কোবরা। নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কী ভাবছেন এ চার অভিনয়শিল্পী- তা নিয়েই এ আয়োজন।
মৌসুমী জয়ী হলে তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেবঃ মিশা সওদাগর, সভাপতি প্রার্থী, মিশা-জায়েদ পরিষদ
আমি জানি না কেউ কেউ কেন নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন। আমরা সবাই একই পরিবারের মানুষ। তা ছাড়া এ নির্বাচনে অংশ নেয়াটা সবার জন্যই আনন্দময়। কারণ এর মাধ্যমে দুবছর পরপর শিল্পীদের মধ্যে একটা উৎসমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। একে অন্যের সঙ্গে দেখা হয়, কথা হয়।
কিছু ঝামেলা হবেই, সেটাকে নিজেরাই মিটিয়ে নিতে হবে। এটাই শিল্পীর ধর্ম। আমি আগেও বলেছি, নির্বাচনে যদি আমি পরাজিত হই এবং মৌসুমী জয়ী হয় তাহলে তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেব। কারণ একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কোনো বিভেদ থাকা উচিত নয় বলে মনে করি আমি। আবারও ফলাফল যাই হোক, আনন্দময় পরিবেশের মধ্য দিয়ে আগামীকালের দিনটি আমরা উদযাপন করব।
বিজয়ী হলেও আমি বলব কেউ হারেননিঃ আরিফা পারভীন মৌসুমী স্বতন্ত্র সভাপতি প্রার্থী
প্যানেল করে নির্বাচন করার কথা থাকলেও সেটা আমি পারিনি। কেন এবং কী কারণে সেটা সবাই জানেন। এখন আর ওইসব নিয়ে ভাবছিও না। তবে আমি শুরু থেকে একটি কথা বলে এসেছি যে, পরাজিত হতে পারি এমন ভাবনা নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি।
আমি চাই আগামীকাল সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ ও ফলাফল সঠিকভাবে পেলে যদি পরাজিত হই তাতে কোনো দুঃখ থাকবে না। আর বিজয়ী হলেও আমি বলব কেউ হারেনি সবাই বিজয়ী হয়েছি।
আশা করছি এবার বিপুল ভোটে আমরা বিজয়ী হবঃ জায়েদ খান, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী, মিশা-জায়েদ পরিষদ
২১ সদস্য পূর্ণাঙ্গ একটি প্যানেলের মাধ্যমে আমরা এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। এরই মধ্যে সবাই জানেন, আমরাই একমাত্র প্যানেলবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আশা করছি এবার বিপুল ভোটে আমরা বিজয়ী হব। নির্বাচনের দিন সুস্থভাবে সবাই ভোট দেবেন, গণনা করবেন এবং ফলাফল প্রকাশের শেষে সবাই ফুলের মালা পরে বাসায় যাব। নির্বাচন হবে কিন্তু কেউ পরাজিত হবে না। সবাই বিজয়ী হব।
শুধু কয়েকজন দায়িত্ব গ্রহণ করবেন, এই তো। অনেকে অভিযোগ করছেন, কিংবা শঙ্কায় আছেন নির্বাচন নিয়ে। আমি এর কোনো কারণ দেখছি না, কেন তারা শঙ্কায় আছেন। বরং সবাই মিলে একটি আনন্দময় দিন কাটাব।
আমি আশাবাদী নির্বাচন সুষ্ঠু হবেঃ ইলিয়াস কোবরা, স্বতন্ত্র সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী
আমি ২০০৪ সালে প্রথম চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। আগে নির্বাচনে প্রচারণা বা নির্বাচনী কোনো ঝামেলায় পড়তে হয়নি কারও। এবার একেবারেই ভিন্ন অবস্থা দেখছি। একই অঙ্গনে কাজ করলেও এটা আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা বলা যায়।
তবু আমি আশাবাদী, আগামীকালের নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আর সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর যদি আমি পরাজিত হই তাতে কোনো সমস্যা নেই। বিজয়ী হলে সবাই মিলেমিশে আমাদের সমিতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। কারও সঙ্গে কোনো বাক-বিতণ্ডা হবে না। আমি সবার কাছে দোয়া কামনা করি।