খবর৭১ঃ বাংলাদেশে কাজ করা ১৪টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আন্তর্জাতিক আর্থিক সহায়তা সংস্থা-বিশ্বব্যাংক। বুধবার (৩ অক্টোবর) ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ স্যাংকশন সিস্টেমের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানানো হয়।
অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি, আঁতাত, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দায়িত্বে বাধা দেয়ার অভিযোগে বিভিন্ন দেশের ৭৮টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশে ৪টি দেশীয় প্রতিষ্ঠানসহ ১৪টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
তবে এসব প্রতিষ্ঠানের ঠিক কোন কোন প্রকল্পে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করেনি বিশ্বব্যাংক। মোটের ওপর বলা হয়েছে, নিজস্ব তদন্তে তারা বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বেশকিছু প্রকল্পে অযাচিত লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছেন। নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে পাঁচটি মৌলিক বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে।
৪টি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এসএমইসি বাংলাদেশ লিমিটেড ও এসিই কনসালটেন্টস-এর ওপর দুই বছর ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ ছাড়া জনতা ট্রেডার্সকে এক বছর ও সৈয়দ আখতার হোসেনকে ১১ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বিশ্বব্যাংক।
বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- চীনা প্রতিষ্ঠান মিডল সাউথ ইউনিয়ন ইলেকট্রিক কো-লিমিটেড (চার বছর), ফ্রান্সের অবেরথার টেকনোলজিস (দুই বছর ছয় মাস), বেলজিয়ামের একার্ট অ্যান্ড জিগলার বেবিগ (দুই বছর), সুইজারল্যান্ডের কনভাটেক ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস জিএমবিএইচ (এক বছর ছয় মাস), মালয়েশীয় প্রতিষ্ঠান কনভাটেক মালয়েশিয়া এসডিএ বিএইচডি (এক বছর ছয় মাস), অস্ট্রেলিয়ার এসএমইসি ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড (এক বছর)।
এছাড়াও অলিভ হেলথ কেয়ার, জয় মোদি, ফ্যামি কেয়ার লিমিটেড ও ম্যাসদেলাস ফার্মাসিউটিক্যালস নামের ৪ ভারতীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
খবর৭১/এসঃ