খবর৭১ঃ বাংলাদেশে ফিরেছে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন সময়ে ভারতে পাচার হয়ে যাওয়া ৬ কিশোরী ও নারী। রবিবার দুপুরে পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ফেরত দেওয়া হয়।
ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ৫১ বিএন বিএসএফের কমান্ড্যান্ট শ্রী কে উমেশ আনুষ্ঠানিকভাবে পঞ্চগড় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১৮ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ এরশাদুল হকের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন। এ সময় তেতুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জহুরুল ইসলাম, ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তা, সাংবাদিকবৃন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশনের প্রয়োজনীয় কাজ শেষে তেতুলিয়া থানা পুলিশ ওই কিশোরীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তেতুলিয়া থানায় প্রয়োজনীয় আইনি কার্যক্রম শেষে তাদেরকে দিনাজপুরে পাঠানো হয়। দীর্ঘদিন পরে সন্তানদের ফিরে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন ওই কিশোরী ও নারীদের অভিভাবকরা।
বিজিবি, পুলিশ ও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা জানান, পাচারকারীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত পথে অবৈধভাবে তাদের ভারতে নিয়ে যান। পরে তাদের ভারতের চেন্নাইয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এরা এক বছর থেকে ৭ বছর ধরে ভারতের চেন্নাইয়ে অবস্থান করছিল। ভারতীয় পুলিশ চেন্নাইয়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের ধরে আদালতের মাধ্যমে চেন্নাইয়ের সরকারি একটি আশ্রয় কেন্দ্রে রাখেন। সেখান থেকে তাদের ১৫ জুন ভারতের শিলিগুড়ি নিয়ে আসা হয়। ভারতের শিলং এর ইমপালস এনজিও নেটওয়ার্ক নামে একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের একটি এনজিওর (ব্র্যাক) সঙ্গে যোগাযোগ ও তথ্য আদান প্রদান করে পাচারকারী কিশোরী ও নারীদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেন। উভয় দেশের এনজিও পাচারকারীদের অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে নিয়ে আসেন।