বাংলাদেশে পর্নবিরোধী যুদ্ধ, বন্ধ ২০ হাজার

0
312

খবর৭১ঃএবার পর্নোগ্রাফির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। আর এ যুদ্ধের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে ২০ হাজারেরও বেশি ওয়েবসাইট বন্ধ করা হয়েছে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের বরাতে ফ্রান্সের প্যারিসভিত্তিক বার্তা সংস্থা এএফপি এমন খবর দিয়েছে।

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার নির্দেশে গত সপ্তাহে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে পর্নোগ্রাফি ও জুয়ার ওয়েবসাইটগুলো সরিয়ে নিয়েছে ইন্টারনেট সরবরাহকারীরা।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে আইসিটিমন্ত্রী মুস্তাফা জব্বার বলেন, আমি বাংলাদেশের সব মানুষের জন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে চাচ্ছি। আর এজন্যই পর্নোগ্রাফির বিরুদ্ধে আমার জেহাদ।

টিকটক ও বিগোর মতো সামাজিক মাধ্যমগুলোর অ্যাপ অপব্যহার হচ্ছে বলে অভিযোগ মন্ত্রীর। ‘কাজেই এগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, বন্ধ হওয়া অধিকাংশ ওয়েবসাইট বিদেশি। কিন্তু কিছু স্থানীয় ও সামাজিক মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মও রয়েছে, যেগুলো এই ধরপাকড়ের মধ্যে পড়েছে।

গত বছরের নভেম্বরে হাইকোর্ট ছয়মাসের মধ্যে পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইট বন্ধ ও ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে অশ্লীল আধেয় অপসারণের নির্দেশ দেয়ার পরেই সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে।

একটি নাগরিক সংগঠনের পিটিশন দাখিলের পর আদালতের কাছ থেকে এ নির্দেশ আসে। অভিযোগে বলা হয়েছে, বিপুল সংখ্যক প্রাপ্তবয়স্কদের ওয়েবসাইটে কোনো ধরনের নজরদারি করা হচ্ছে। অথচ সেগুলো অশ্লীল উপাদানে ভরা।

রোববার বাংলাদেশের এক উঠতি অভিনেত্রীকে ডেকে নিয়ে ভর্ৎসনা করে তাকে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকের পাতা থেকে এরকম উসকানিমূলক ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে নিতে বলেছে পুলিশ।

মন্ত্রী বলেন, আমরা স্থানীয় ফেসবুক প্রফাইল, ইউটিউব চ্যানেল ও ওয়েবসাইটগুলোতে নজরদারি করছি।

‌‘অশ্লীল উপাদান থাকায় সেগুলোর মধ্যে অল্প কয়েকটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও কয়েকটিকে বলেছি, আমাদের সামাজিক রীতির বাইরে গিয়ে যাতে আর কিছু পোস্ট করা না হয়, সেই নির্দেশ দিয়েছি।’

বাংলাদেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের ৯ কোটিই ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ইন্টারনেট অনুসন্ধানের তালিকার শীর্ষে পর্ন তারকাদের নিয়মিত দেখা যায়।

ইন্টারনেট সেবাপ্রদানকারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক বলেন, তারা সরকারের নির্দেশ মেনে চলছেন। কিন্তু ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) বা মিরর ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অনেকেই অনলাইনের পর্ন সাইটে ঢুকছেন।

তিনি বলেন, এটা একটা অব্যাহত প্রক্রিয়া। কাজেই এক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণ করা জরুরি। কারণ এসব ওয়েবসাইট নীতিমালার ক্ষেত্রে সচেতন। প্রতি সপ্তাহে তারা কয়েক হাজার মিরর সাইট দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here