বহুল প্রত্যাশিত দ্বিতীয় ধরলা সেতু প্রবেশদ্বার উন্মুক্ত

0
233

আসাদুল ইসলাম সবুজ, লালমনিরহাট: বহুল প্রত্যাশিত দ্বিতীয় ধরলা সেতু ওপর দিয়ে জনসাধারনের চলাচলের জন্য প্রবেশদ্বার খুলে দেয়া হয়েছে। শনিবার (২৮ এপ্রিল) বিকালে সেতুটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করেন লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার প্রশাসন।
জানা গেছে, লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাটে ধরলা নদীর ওপর নির্মিত বহুল প্রত্যাশিত দ্বিতীয় ধরলা সেতু। এলজিইডি’র অধীনে বাস্তবায়িত ৯৫০ মিটার পিসি গার্ডারের এই সেতুর কাজ গত বছর ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে। এলজিইডি’র অধীনে দ্বিতীয় ধরলা সেতুর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নে সিমপ্লেক্স ও নাভানা কনস্ট্রাকশন গ্রুপের সঙ্গে যৌথ চুক্তি সম্পাদিত হয় ২০১৪ সালে। ১৯টি স্প্যান সংবলিত এসেতুর শেষ স্প্যান বসানোর কাজ সম্পন্ন হয় গত বছর অক্টোবরে। এরপর গত বছরের ডিসেম্বরে আনুষঙ্গিক অন্যান্য কাজ শেষ করে সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হয়। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী জনদুর্ভোগ লাঘবে সেতুটি যান চলাচলের জন্য শনিবার (২৮ এপ্রিল) বিকালে খুলে দেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. মতিয়ার রহমান, কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আলী, কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী (কুড়িগ্রাম) সৈয়দ আব্দুল আজিজসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও দু’জেলার স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
কুড়িগ্রামের এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি জনগুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প দ্বিতীয় ধরলা সেতু। নদী শাসন, অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণ ও মূল সেতু নির্মাণের জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ১৯১ কোটি ৬৩ লাখ ২২৩ টাকা ৫৮ পয়সা। এই সেতুর ফলে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার জনগণ, বিশেষ করে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার মানুষ অনেক বেশি উপকৃত হবেন। বিভাগীয় শহর রংপুরসহ দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ হবে দেশের উত্তর-পশ্চিমের এই অঞ্চলের মানুষের। এছাড়াও লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংরাবান্ধা হয়ে কলকাতার যোগাযোগও অনেক সহজ হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা।
এলজিইডির এই প্রকল্পটি নিয়ে সংস্থাটির কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ আব্দুল আজিজ বলেন, ‘ইতোমধ্যে সেতুটির কাজ শেষ হলেও তা যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি। স্থানীয় জনগণের যাতায়াতে দুর্ভোগ লাঘবে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক এটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হল।’ পরে প্রধানমন্ত্রী সুবিধা মতো সময়ে এটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করবেন।’

খবর ৭১/ এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here