বরেন্দ্র অ লে আমনে মাজরাপোকার আক্রমণ। ফলন বিপর্যায়ের আশংকায় দিশেহারা কৃষক

0
345

আকতারুজ্জামান,গোদাগাড়ীঃ
বরেন্দ্র অ লে রোপা-আমনে মাজরা(বাদামী গাছ ফড়িং) পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কীটনাশক প্রয়োগে কাজ হচ্ছে না। স্থানীয় কৃষকরা জানান,সময়মত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় খরার মুখে পড়ে রোপা আমন চাষ। এতে করে রোপা আমন চাষ বিল্বিত হওয়ায় মাজরা পোকার আক্রমণে জমিতে রোপনকৃত ধানের চারা শুকিয়ে মারা যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রকার কীটনাশক প্রয়োগ করেছে। কিন্ত এসব কীটনাশকে মাজরা পোকা দমন হচ্ছেনা। কোন কাজ না হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে । মাজরা পোকার আক্রমনের সঙ্গে কিছু এলাকায় রোপা-আমন ধানের চারা গোড়ায় পচন ধরেছে। কৃষকরা অভিযোগ করেন রোপা আমন ধানে চারায় মাজরা পোকা ও পচন ধরায় উৎপাদন নিয়ে চিন্তায় পড়েলেও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের লোকজনকে মাঠ পর্যায়ে পাওয়া যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় এ অ লের কৃষকরা রোপা আমন নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সৃত্র জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২৩ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ হাজার হেক্টর জমিতে কম চাষ হয়েছে রোপা আমনের। উপজেলার পাকড়ী,কেশবপুর,গোগ্রাম,বসন্তপুর,দেলসাদপুর,শিমলাসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়,খরা মোকাবিলা করে মাজরা পোকা ও পচনের হাত থেকে রোপা আমন বাচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কৃষকরা। উপজেলার শিমলার কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন বৃষ্টিপাত পর্যাপ্ত পরিমানে না হওয়ায় গভীর নলকুপের সেচের পানি দিয়ে ১৬ বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষ করেছে। সপ্তাহ আগে জমিতে রোপনকৃত কিছু অংশের রোপা আমনে মাজরা পোকা দেখা দিলেও এখন পুরো জমিতে ছড়িয়ে পড়েছে। কৃষক রফিকুল ইসলাম আরো বলেন বিভিন্ন কোম্পানীর কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে কয়েকবার।কিন্ত মাজরা পোকার উপদ্রব্য কমছে না। উপজেলা পাকড়ীর মোহন পাড়া কৃষক পলাশ হোসেন ১০বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষ করেছে। এর মধ্যে ৫বিঘা জমিতে মাজরা পোকা ও পচন দেখা দিয়েছে। কীটনাশক প্রয়োগ করে দমন না হওয়ায় পরো জমিতে ছড়িয়ে পড়ার আংশকা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে গোদাগাড়ী কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন রোপ-আমনের চারায় মাজরা পোকা বসে ধান গাছের রস খেয়ে ফেলে।তখন যে সব খাবার দেয়া হয় তা ধান গাছের উপরে যেতে পারেনা। এক পর্যায়ে সবুজ ধানের গাছ লালচে হয়ে শুকিয়ে মারা যায়। রোপা আমনে মাজরা পোকা দমনে মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছে। কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শের পাশাপাশি মাজরা পোকা দমনে কারটাফ ও সাইপামেথিন নামীয় কীটনাশক ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে। এদিকে রাজশাহীর তানোর,চাপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা,নাচোল,গোমস্তাপুর,নওগার সাপাহার,পোরশা,নিয়ামতপুরসহ বরেন্দ্র অে লের বিভিন্ন এলাকায় রোপা-আমনে মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। তবে এসব এলাকায় দায়িত্বরত কৃষি কর্মকর্তারা বলেন মাজরা পোকার আক্রমণ মহামারী আকার ধারন করেনি বলে দমন করা সম্ভব হবে। নাচোলের নিজাম পুরের কৃষক আব্দস সোহবান বলেন বিল্বিবে চাষ, ও মাঝামাঝি অবস্থায় মাজরা পোকার আক্রমণে রোপা-আমনের ফলন কম হওয়ার আশংকা রয়েছে।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here