খবর৭১ঃনারায়ণগঞ্জ বন্দরে এক ইউপি সদস্য ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এক অসহায় নারী ও তার দুই শিশুসন্তানের ওপর বর্বর নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মোবাইল চুরির অভিযোগ দিয়ে ওই নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয় এবং দুই শিশুসন্তানকে লাঠিপেটা ও গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দেয়া হয় বলে জানায় এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলের নির্দেশে শনিবার বন্দর থানায় মামলা হয়েছে।
এদিকে মামলা করে দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন মনি আক্তার নামে ওই নারী। মামলা হলেও গ্রেফতার হননি অভিযুক্ত ইউপি সদস্য।
পুলিশ জানায়, শহরের পাইকপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া সালাউদ্দিন রহমান জীবনের স্ত্রী মনি আক্তার গত বুধবার দুই শিশুসন্তান নিয়ে মদনপুর ইউপি সদস্য খলিল মেম্বারের বাড়িতে খাবার খান।
এ সময় ওই মেম্বারের একটি মোবাইল ফোন হারিয়ে যায়। এ ঘটনায় মনি আক্তারকে মোবাইল চোর আখ্যা দিয়ে ডাবগাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে দুই শিশুসন্তানকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে এবং লোহার খুন্তি গরম করে শিশু সুমীর (৬) পায়ে ও হাতে এবং মারুফের (৮) হাতে ছ্যাঁকা দেয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আটকে রাখার পর অবস্থা বেগতিক দেখে তাদের ছেড়ে দিলে রাতেই নির্যাতিতা মনি আক্তার থানায় অভিযোগ করেন।
তবে মনি আক্তার ইউপি মেম্বার ও তার সহযোগীদের বিচারের জন্য ৩ দিন প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়ে কোনো প্রতিকার পাননি বলে জানান।
এরই মধ্যে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলের নজরে আসে।
এরপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মনি আক্তারকে বন্দর থানা পুলিশ ডেকে এনে ইউপি সদস্য খলিল মেম্বারসহ ৩ সহযোগীর বিরুদ্বে মামলা নেয়। মামলার পর থেকে মেম্বার ও সহযোগীদের হুমকিতে শিশুসন্তানদের নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন মনি আক্তার।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর কুতুবে আলম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
অভিযুক্ত খলিল মেম্বার জানান, আমি নির্যাতন করি নাই। মা ও শিশুদেরকে মোবাইল চুরির কারণে জনসাধারণ মারধর করেছে।
পরিদর্শক (তদন্ত) হারুনুর রশিদ বলেন, নির্যাতিতা মনি আক্তারের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে।
খবর৭১/এসঃ