বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির অনিয়মের পাহাড়-৩

0
436

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, ভিসি প্রফেসর ড.খোন্দকার নাসির উদ্দিন কর্মচারীদের আপগ্রেডেশনের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতা, ওভার টাইমের ক্ষেত্রে বৈষম্য, আপগ্রেডেশন নীতিমারা সংশোধন তালবাহানা পারিতোষিকের ক্ষেত্রে বৈষম্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম করছেন।
এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছদ্ম বেশে কথা বলে জানা যায়, ভিসি বিভিন্ন ডরমিটরি ও হল প্রশাসনে নিজের ইচ্ছে মত তত্ত্বাবধায়ন নিয়োগ দিচ্ছেন। যারা তার আদেশ ও উপদেশ ব্যতীত কোন সিদ্ধান্তই নিতে পারেন না। এছাড়া হলে ছাত্র উঠানোর ক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়কগণ ভিসি সুপারিশ বাস্তবায়ন করতেই হিমশিম খাচ্ছেন। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় আইন আবাসস্থল ধারা ৪১ এ স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয় বিধান দ্বারা নির্ধারিত স্থান ও শর্তাধীনে বসবাস করিবে। কিন্তু বাস্তবে বিশ্ববিদ্যালয় পাঁচটি হলের (যার মধ্যে দুটি নির্মানাধীন) শিক্ষার্থী ধারণ ক্ষমতা সর্বোচ্চ ১৫’শ থেকে দু’হাজারের বেশি নয়। যা বিশ্ববিদ্যালয় মোট শিক্ষার্থীর মাত্র ২০/২২ ভাগ। বাকি নয় হাজার বা তদূর্ধ্ব শিক্ষার্থীকে থাকতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে কোন ব্যাক্তি মালিকানাধীন ভাড়া বাড়িতে। যা সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় আইনের পরিপন্থী। গোপালগঞ্জ ছোট জেলা শহর হওয়ার দরুন এখানে একদিকে যেমন আবাসন সংকট তেমনি দ্রব্যমূল্যেরও উর্দ্ধগতি। ফলশ্রুতিতে এখানে অতিরিক্ত ব্যয়ভার বহন করে টিকে থাকতে গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের। তাদের অতিরিক্ত খরচের ফলে উঠছে নাভিশ্বাস।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মানের জন্য একনেকেন সভায় পাশকৃত ১০৫ কোটি টাকার অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। যার মধ্যে রয়েছে শহীদ মিনার, ১২ তলা একাডেমির ভবন-২, ছাত্র ও ছাত্রীদের ২টি হল, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবন, কর্মচারীদের কোয়ার্টার, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, মেইন গেট ও সাবগেট। বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজ অডিটোরিয়াম, লাইব্রেরি ভবনের সম্প্রসারণ, জিমনেশিয়াম, পুকুর খনন ইত্যাদি প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পযর্ন্ত হলেও দৃশ্যমান প্রকল্প গুলোর অর্র্ধেক কাজ এখনও সমাপ্ত হয়নি। তন্মধ্যে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, শহীদ মিনার নির্মাণ, কর্মচারী কোয়ার্টার, মেইন গেট ও সাব গেট, অডিটোরিয়াম, লাইব্রেরি ভবনের সম্প্রসারণ, দৃষ্টিনন্দন জলাধার প্রভৃতির নির্মাণ কাজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো আরম্ভই করেনি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নিয়ম অনুযায় পূর্বের বাজেটের ৩০ শতাংশ উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করতে না পারার কারনে ২০১৮ তে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় পর্যায়ের ৫০০ কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেটের অনুমোদন মেলেনি।
এ ছাড়াও ভিসি প্রফেসর ড.খোন্দকার নাসির উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ইফতারি অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে শুধু ধর্মের উপর আঘাত শুধু নয় শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীসহ কর্মচারীদের মনেও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় বড় রকমের আন্দোলন হতে পারে বলে আভাষ দিয়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here