খবর ৭১: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতি ছিল এ দেশের শোষিত বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। মানুষ যেন মুক্তি পায় সে জন্য তিনি বছরের পর বছর জেল খেটেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই এ দেশ বিশ্বের বুকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে উঠত।
শনিবার দুপুরে গণভবনে আয়োজিত দলের বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বর্ধিত সভার আজ দ্বিতীয় পর্যায় চলছে। এ পর্যায়ে উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। অনুষ্ঠানের শুরুতে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের ভালোবাসা পেয়েছিলেন বলেই তিনি অকাতরে জীবন দিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, সব হারিয়ে আমি এখন নিঃস্ব। তাই এখন আমার পরিবার হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
বাবার হত্যার স্মৃতি মনে করে এবং বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুন জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, পৌর সভার মেয়র এবং পৌরসভা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে বিশেষ বর্ধিত সভা করে আওয়ামী লীগ।
তারই ধারাবাহিকতায় এবার ইউনিয়ন, পৌরসভা, ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের নিয়ে এ সভা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু সারা দেশের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এক সঙ্গে এ সভা সম্পন্ন করা কষ্টসাধ্য বিবেচনা করে দু’টি ধাপে এই বিশেষ বর্ধিত সভা সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সেই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৭ জুলাই শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় তৃণমূলের নেতা ও দলীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের নিয়ে তৃতীয় ধাপের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর ও খুলনা বিভাগের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং দলীয় ইউপি চেয়ারম্যানরা এতে অংশ নেবেন।