এম এম আতাউর রহমান (জীবন)জয়পুরহাট,প্রতিনিধি:
বগুড়ার শিবগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ফোর মার্ডারের রহস্য উম্মোচন করেছে পুলিশ। পুলিশ হেড কোয়াটার্স উইং ও জেলা পুলিশের যৌথ তদন্তের পর হত্যাকান্ডে অংশ নেয়া তিনজনকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের কাছে হত্যায় জরিত থাকার কথা স্বিকার করে জবান বন্দী দিয়েছেন গ্রেফতারকৃতরা।
গ্রেফারকৃতরা হলেন, জুয়েল শেখ (২৫), আবুল কালাম আজাদ (৪৮) এবং রুবেল (২৭)। তাদের সকলের বাড়ি বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায়।
চার হত্যা মামলার বর্ননা দিতে গিয়ে আজ সোমবার বগুড়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, মাদকের পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের কারণে চারজনকে হত্যা করা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার (৭ মে) শিবগঞ্জ উপজেলার আটমূল ইউনিয়নের ডাবুইর গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় জাকারিয়া, সাবু, হেলাল এবং খবির নামের চারজনের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। একই স্থানে চারজনকে জবাই করে ফেলে রাখার ঘটনায় আতঙ্ক ও আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় নিহত জাকারিয়ার পিতা বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার (৮ মে) ৯ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। লাশ উদ্ধারের পর থেকেই পুলিশের একাধিক টিম হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন ও হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে মরিয়া হয়ে মাঠে নামে।
ঘটনার মাত্র ৬ দিনের মাথায় হত্যাকান্ডের আসল রহস্য উম্মোচন করে পুলিশ। হত্যায় অংশ নেয়া তিন জনকে গ্রেফতার ও রহস্য উম্মোচন হওয়ায় জেলা পুলিশ সুপার, আলী আশরাফ ভূঞা’র প্রসংশা বগুড়া জুড়েই। পুলিশ সুপার এবং পুলিশের প্রসংশায় পন্চমুখ সারা এলাকাবাসী।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার, আলী আশরাফ ভূঞা জানান, নিহত জাকারিয়া শিবগঞ্জ উপজেলার কাঠগড়া চক পাড়া গ্রামের জুয়েলের কাছ থেকে এক হাজার পিচ ইয়াবার বিক্রির টাকা পেত। এই টাকা নিয়ে জাকারিয়ার সাথে জুয়েলের প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতো। তার রেশ ধরেই ঘটনার রাতে জুয়েল ও তার সহযোগিরা পাওনা টাকা পরিশোধের কথা বলে জাকারিয়া ও সাবুকে ডাবইর এলাকায় ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে জুয়েল, আবুল কালাম আজাদ, রুবেল সহ আরো ৬ জন মিলে জাকারিয়া ও সাবুকে গলা কেটে হত্যা করে।
এ সময় ওই এলাকা দিয়ে হেলাল ও খবির নামের দুইজন ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে হেঁটে যাওয়ার সময় লাশ দু’টি দেখে ফেলে। এ সময় হত্যাকারীরা হেলাল ও খবিরকে জিজ্ঞাসা করে, তারা লাশ দেখেছে কিনা? তারা বলে লাশ দেখেছে এবং তাদের কে খুন করলো এই বেপারে জানতে চান? এ কথা বলার পর হত্যাকারীরা ভয় পেয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে হত্যাকারীরা হেলাল ও খবিরকে হত্যার সিন্ধান্ত নেয় এবং তাদেরকে ও জবাই করে হত্যা করে।
আজ সোমবার দুপুরে হত্যাকারী জুয়েলকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বগুড়ার পুলিশ সুপার জনাব, মোঃ আশরাফ আলী ভুঞাঁ। ঘটনাস্থলে এসে জুয়েল নিজে আঙ্গুলের ইশারায় দেখিয়ে দিলেন ঘটনার স্থান ও জানালেন লোমর্হষক ফোর মার্ডারের বনর্না।
খবর৭১/এসঃ