বকেয়া বেতনের দাবিতে নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মানববন্ধন

0
449

খবর৭১:প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০১৫ সালের জাতীয় পে-স্কেল অনুযায়ী বেতন ভাতা বহাল ও দশ মাসের বকেয়া বেতনভাতার দাবিতে মানববন্ধন করেছে আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার প্রকল্পের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালে শহর অঞ্চলের মানুষ, বিশেষ করে দরিদ্র মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারী প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রতি পাঁচ বছর পর নতুন করে দরপত্রের মাধ্যমে এনজিও নির্বাচিত করে প্রকল্পটি পরিচালিত করা হয়।

বিগত প্রতিটি ফেইজে দরপত্র প্রক্রিয়ায় কর্মীদের বেতন গ্রেড নির্ধারণ করে এনজিওদের কাছ থেকে দরপত্র আহবান করা হয়। যেখানে প্রতিটি পার্টনারশিপ এলাকার কর্মীদের বেতন গ্রেড অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রায় সমান ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বর্তমান দরপত্র আহবানের কর্মীদের বেতন গ্রেড নির্ধারণ না করে প্রকল্পের অন্যান্য খরচের বিশাল বাজেট থেকে বরাদ্দ রেখে এনজিও দরপত্র আহবান করা হয়। ফলে অন্যান্য বাজেট কমানোর সুযোগ না থাকায় এনজিওরা সর্বনিম্ন দরদাতা হওয়ার জন্য কর্মীদের বেতন কমানোর মহোৎসবে মেতে ওঠে। এতে করে বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া ২০১৫ সালের পে স্কেল অনুযায়ী আরবানের কর্মীরা যে বেতন ভাতা ভোগ করে আসছিল, সেই বেতন-ভাতা কাঠামোর ধারাবাহিকতা আর থাকছে না। এমনকি এনজিও সর্বনিম্ন দরদাতা হওয়ার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সরকারের দেয়া সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো বা আন্তর্জাতিক শ্রম আইনের নিয়ম না মেনে কর্মীদের বর্তমান প্রাপ্য বেতনের অর্ধেক করে দরপত্র জমা দেওয়া হয়। ফলে আরবানের কর্মীরা চরম বেতন বৈষম্যের শিকার হতে চলছে।

বক্তারা আরো বলেন, আমরা আরবানের ২৯০০ কর্মী দশ মাস ধরে বেতন পাচ্ছি না। তারপরও স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে চলমান রেখেছি। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল বহাল রেখে, সকল পার্টনারশিপ এলাকায় পদ অনুযায়ী সমান বেতন ও সকল কর্মচারীদের চাকরিতে বহাল রাখাসহ বিগত ১০ মাসের বকেয়া বেতন-বোনাস পরিশোধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
খবর৭১/জি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here