খবর৭১ঃসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার বিকালে ওই শিক্ষার্থী তার ফেসবুক পেজে লেখে ‘একটা রিক্সা চাই, শৈশব ও কৈশোরে ফিরে যাবার জন্য।’
পরে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হলের ২২৯ নং কক্ষে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। তার নাম নাজমুল হাসান। সে আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। শারীরিক অসুস্থতা ও মানসিক হতাশার কারণে সে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সহপাঠী সূত্রে জানা যায়, নাজমুল সন্ধ্যা ৬টার দিকে তার বন্ধুদের সঙ্গে ক্যাম্পাসে ঘুরতে বের হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নিজ কক্ষে ফিরে আসে। এরপর সে মোবাইল ফোনে নাদিম নামে এক বন্ধুকে নিজ কক্ষে ডাকে।
নাদিম কক্ষের সামনে এসে তার দরজা বন্ধ পায়। ডাকাডাকির এক পর্যায়ে সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে কক্ষে ঢুকলে নাজমুলকে রশিতে ঝুলতে দেখা যায়।
রশি থেকে নামিয়ে সহপাঠীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বদিউজ্জামান তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সহপাঠীরা জানায়, নাজমুলের তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলছে। তার স্বপ্ন ছিল এসপি হওয়ার। সে বিসিএস পরীক্ষার জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, নাজমুলের উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাস-প্রশ্বাস ও চোখের সমস্যাসহ নানা রোগ ছিল। আত্মহত্যার আগের দিনও সে চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নেয়। তবে সে ধূমপানে আসক্ত ছিল বলে জানিয়েছে তার সহপাঠীরা।
নাজমুলের বাড়ি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বারাত গ্রামে। তার বাবার নাম আবদুল মালেক গাজী। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন, মরদেহ কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
খবর৭১/ইঃ