ফেসবুকে সাইবার ক্রাইমের শিকার ৫১% নারী

0
220

খবর৭১: সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিসিএএফ) জানিয়েছে, এইসময়ে বাংলাদেশের মোট ফেসবুক ব্যবহারকারী ৫১ শতাংশ নারীই সাইবার অপরাধের শিকার। নারী-পুরুষ মিলিয়ে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৭৪ ভাগ মানুষই কোনো না কোনোভাবে সাইবার অপরাধের শিকার।

রবিবার (২০ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরে সিসিএএফ। মাঠ পর্যায়ের ১৩৩ জন ভুক্তভোগীর ওপর জরিপ চালিয়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংস্থাটি।

দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৬০ দশমিক ৯০ শতাংশ ফেসবুক ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের ৭৮ শতাংশ পুরুষ ও ২৪ শতাংশ নারী বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।

সিসিএএফ’র গবেষণায় উঠে এসেছে, অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া অ্যাকাউন্টের অপপ্রচারের শিকার হন ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং ১২ দশকি ৭৮ শতাংশ পুরুষ। আইডি হ্যাকিং বা তথ্যচুরির শিকার হন ১৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ পুরুষ ও ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ নারী।

এছাড়াও দেশে সংঘটিত সাইবার অপরাধের আখড়া হয়ে উঠছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। আর এতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী মেয়েরা। ছবি বিকৃতির মাধ্যমে অনলাইনে অপপ্রচারে ক্ষতিগ্রস্ত নারীর হার ১২ দশমিক ০৩ শতাংশ। এক্ষেত্রে ভুক্তভোগী পুরুষের সংখ্যা ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ- বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়।

তবে হয়রানির শিকার হলেও ভুক্তভোগীদের ৩০ শতাংশই জানে না কীভাবে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। ২৩ শতাংশ আরও হয়রানির ভয়ে আইনের সাহায্য না নিয়ে পুরো বিষয়টি চেপে যান। অন্যদিকে সামাজিক ভাবমর্যাদা রক্ষায় পুরো বিষয়টি গোপন রাখেন ১৭ শতাংশ এবং প্রভাবশালীদের ভয়ে নিশ্চুপ থাকে ৫ শতাংশ ভুক্তভোগী। অভিযোগ করেও আশানুরূপ ফল পাননি ৫৪ শতাংশ ভুক্তভোগী।

সিসিএএফ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, সাইবার অপরাধের শিকার হওয়াদের ৪৪ শতাংশই মনে করেন অপরাধীদের তাৎক্ষণিক শাস্তি দেয়া গেলে এই নীরব ঘাতকের হাত থেকে মুক্তি মিলবে। ২৯ শতাংশ আইনের প্রয়োগ বাড়ানো এবং ২৭ শতাংশ সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে সাইবার ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা অধ্যাপক একেএম নজরুল হায়দার বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে যতো প্রবেশ করবো, ততোই ঝুঁকি বেড়ে যাবে। এজন্য সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।’

এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাশেদা রওনক খান বলেন, ‘বেশিরভাগ সাইবার অপরাধের শিকার নারী। ১৮-৩০ বছরের মেয়েরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেগুলোতে বুঝেশুনেই সম্পর্ক তৈরি করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কমকর্তা আবুল মনসুর মোহাম্মদ সারফ উদ্দিন, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের যুগ্ম সম্পাদক মঈন উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সিএসএ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক কাজী মুস্তাফিজ।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here