কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
ঐতিহাসিক ফেলানী খাতুন হত্যার দীর্ঘ ৮ বছর।থমকে গেছে হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও ক্ষতিপুরণের দাবি। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর অনন্তপুর সীমান্ত দিয়ে বাড়ি ফিরছিল ফেলানী। মই দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় বিএসএফের সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে ১৫ বছরের ফেলানীর মৃত্যু হয়েছিল। এরপর তার দেহ অন্তত ৫ ঘণ্টা কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে থাকে। কাঁটাতারে ঝুলে থাকা কিশোরী ফেলানীর লাশ আলোড়ন তুলেছিল দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকারকর্মীদের সমালোচনার মুখে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহার জেলার বিএসএফের বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচারকাজশুরু হয়। অথচ এক মাস না পেরোতেই ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেন বিএসএফের বিশেষ আদালত। এরপর থেকে আইনি লড়াই চলছে।ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে মামলা করা হয়। শুনানি ছাড়া সেই মামলারও কোনো অগ্রগতি নেই।
আজ সোমবার(৭ জানুয়ারি) ফেলানী হত্যার আট বছর পূর্ণ হবে।মা জাহানারা খাতুন প্রতিদিন বাড়ির পেছনের দিকটায় ফেলানীর কবরের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। তিনি আশায় বুক বেঁধে আছেন একদিন এ হত্যার বিচার হবে। জাহানারা খাতুন বলেন, অভিযুক্ত অমিয় ঘোষের ফাঁসি হলে ফেলানীর আত্মা শান্তি পাবে।
ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নুরু জানান,আমি ভারত সরকারের কাছে মেয়ে ফেলানী হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই। বিচারের তারিখ বারবার পরিবর্তন হওয়ায় আমরা হতাশ।