ফের ইসির সভা বর্জন করলেন মাহবুব তালকুদার

0
295

খবর৭১ঃ আবারও নির্বাচন কমিশনের সভা বর্জন করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

সোমবার কমিশন বৈঠকে বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেয়ার অভিযোগ তুলে নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে সভা বর্জন করেন তিনি।

আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে বেলা ১১টায় নির্বাচন কমিশনের ৩৬তম এ সভা শুরু হয়।

সভায় বক্তব্য প্রদানের সুযোগ না দেয়ায় মাহবুব তালুকদার সভা থেকে বের হয়ে যান বলে সূত্রে জানা গেছে।

সভা থেকে বের হয়ে আসার বিষয়টি পরে সাংবাদিকদের নিজেই জানান মাহবুব তালুকদার।

তবে বেরিয়ে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু বলব না।’

তবে বাকি তিন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরীকে নিয়ে বৈঠক চালিয়ে যান সিইসি নুরুল হুদা।

এরপর দুপুর দেড়টায় বৈঠকের বিরতি দেয়া হয়। বিকাল ৩টা আবার বৈঠক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে পাঁচ দফা প্রস্তাব নিয়ে সভায় বক্তব্য দিতে চেয়েছিলেন এ নির্বাচন কমিশনার। কিন্তু সেই সুযোগ না পাওয়ায় নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে তিনি বেরিয়ে যান।

গত ৮ অক্টোবর কমিশনে দেয়া এক আনঅফিসিয়াল নোটে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ওই পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছিলেন মাহবুব তালুকদার।

নির্বাচনী দায়িত্বে সেনাবাহিনীর কার্যপরিধি নির্ধারণ, সবার জন্য সমান সুযোগ রেখে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজন, ভোটে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা, ইসির সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সরকারের সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে নিজের মতামত সেখানে তিনি তুলে ধরেন।

সোমবারের কমিশনসভায় ওই বিষয়গুলো নিয়েই বক্তব্য দিতে চেয়েছিলেন কমিশন সদস্য মাহবুব তালুকদার।

নোট অব ডিসেন্টে তিনি লিখেছেন, নির্বাচন কমিশন কোনোভাবেই আমার অধিকার খর্ব করতে পারে না, বাকস্বাধীনতা ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা আমার সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকার।

‘এমতাবস্থায় অনন্যোপায় হয়ে আমি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নোট অব ডিসেন্ট প্রদান করছি এবং প্রতিবাদস্বরূপ কমিশনসভা বর্জন করছি।’

মাহবুব তালুকদার লিখেছেন- কমিশনসভায় তাকে বক্তব্য উপস্থাপন করতে না দেয়ার বিষয়ে কমিশনারদের অভিন্ন অবস্থান তাকে বিস্মিত ও মর্মাহত করেছে।

ওই পাঁচ দফা প্রস্তাব কমিশনসভার কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করারও অনুরোধ করেন এ নির্বাচন কমিশনার।

এর আগে গত ৩০ আগস্ট কমিশনের যে সভায় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সুযোগ রাখতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সেখান থেকেও মাহবুব তালুকদার আপত্তি জানিয়ে বেরিয়ে এসেছিলেন।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here