ফিলিস্তিনির নিরাপত্তা নিশ্চিতে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ৪ প্রস্তাব

0
252

খবর৭১ঃ ইসরাইলি অধিকৃত অঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা উন্নয়নে চারটি বিকল্পের কথা বলেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুয়েতেরেস। তা হল, সেখানে জাতিসংঘের মানবাধিকার ও নিরস্ত্র পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা। এছাড়া জাতিসংঘ নির্দেশিত একটি সামরিক কিংবা পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা।

গত ৩০ মার্চ শুরু হওয়া ফিলিস্তিনিদের বসতবাড়িতে ফেরার অধিকার দাবিতে বিক্ষোভে ইসরাইলি গুলিতে ১৭১জন নিহত হয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এক প্রতিবেদনে এ প্রস্তাবের কথা বলা হয়েছে।

গুয়েতেরেস জোর দিয়ে বলেন, প্রয়োজন অনুসারে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের সহযোগিতা নেয়া হবে।

১৪ পাতার প্রতিবেদনে গুয়েতেরেসের প্রস্তাব-

• সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করতে জোরালোভাবে জাতিসংঘের উপস্থিতি বাড়াতে মানবাধিকার পর্যবেক্ষক ও রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়া। তারা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন পেশ করবেন।

• বেসামরিক লোকজনের কল্যাণ নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের মানবিক ও উন্নয়ন সহায়তা বাড়ানো।

• একটি বেসামরিক পর্যবেক্ষক মিশন শুরু করতে হবে। তল্লাশি চৌকি ও ইসরাইলি বসতির মতো স্পর্শকাতর অঞ্চলগুলোতে তারা উপস্থিত থাকবেন। ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষা বিষয়ে তারা প্রতিবেদন দেবেন।

• জাতিসংঘের ম্যান্ডেটের অধীন একটি সশস্ত্র সামরিক কিংবা পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা। তারা ফিলিস্তিনি বেসামরিক লোকজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।

এদিকে গাজা উপত্যকার সীমান্ত বরাবর শুক্রবারের বিক্ষোভে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর এলোপাতাড়ি গুলিতে দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

নিহতরা হলেন, ৩০ বছর বয়সী করিম আবু ফাতিয়ার ও ২৬ বছর বয়সী সাদি মোয়ামের।

মধ্য গাজার বুরেইজ শহরে ফাতিয়ার, আর সাদি রাফাহ শহরের কাছাকাছি দক্ষিণ গাজায় নিহত হন। তাদের দুজনেরই মাথায় গুলি লেগেছে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ২৭০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭০ জনই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

হতাহতের ব্যাপারে ইসরাইলি সেনাবাহিনী কিছু জানে না বলে জানিয়েছে। তবে তারা বলেছে, সীমান্ত বরাবর বিক্ষোভে তারা প্রকাশ্যে গুলি করেছে।

গত ৩০ মার্চ শুরু হওয়া বিক্ষোভে ইসরাইলি গুলিতে ১৭১ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের অধিকাংশই সীমান্ত সহিংসতায় নিহত হন।

গত জুলাইয়ে একজন ইসরাইলি স্নাইপারও নিহত হয়েছেন।

এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুয়েতেরেস শুক্রবার বলেছেন, জাতিসংঘ নির্দেশিত সশস্ত্র বাহিনী কিংবা নিরস্ত্র পর্যবেক্ষক মোতায়েনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের সুরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করা যাবে।

তিনি বলেন, এতে করে সেখানে জাতিসংঘের বেসামরিক উপস্থিতি কিংবা সহায়তা বাড়ানো সম্ভব।

গত জুনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হওয়া এক প্রস্তাবে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের নিন্দা জানানো হয়েছে।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here