ফিনল্যান্ডে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত ঈদুল ফিতর

0
450

জামান সরকার, হেলসিংকি থেকে,  : হ্যাঁ ঈদ মানেই আনন্দ আর ফুর্তি। শুধু আনন্দ নয়, মহা উৎসব। একমাস রোজা রাখার পর ফিনল্যান্ড জুড়ে মুসলমানরা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আর উৎসাহের মধ্য দিয়ে উদযাপন করছে ঈদুল ফিতর। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাওয়ালের এক ফালি চাঁদ যেন ডালি ডালি খুশির বার্তা নিয়ে আসে। তারই আবাহনে আজ ঈদের সকালে সবাই নতুন পোশাক পরেছে। শিশুদেরচোখমুখে ফুটে উঠেছে আনন্দ আর উচ্ছ্বাস। তারা সবাই তো এই দিনটিরিই প্রতীক্ষায় ছিল গত একমাস। অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান হল ১৫ই জুন শুক্রবার। ঝলমল রোদ্দুরে ও গ্রীষ্মের প্রকৃতির রঙে রঙিন হয়ে ফিনল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সমবেত হয়ঈদের জামাতে। ইসলামী রীতি অনুযায়ী রাজধানী হেলসিংকিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঈদের প্রধান দুইটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯টায় হাকানিয়েমীর মেরী হাকা পাল্লোহাল্লিতে।এতে ইমামতি করেন হেলসিংকির দারুল আমান মসজিদের খতিব আবদুল কুদ্দুস খান ও অপর জামাতটি হয় কনতুলায়, এতে ইমামতি করেন বশির আহমেদ। ঈদের জামাত শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। ফিনল্যান্ডের সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা জামাত দুটিতেঅংশ নেন। ঈদ জামাতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আবদুস সালাম খান, রিয়াজ সহিদ, মবিন মোহাম্মদ, বদরুম মুনীর ফেরদৌস, গাজী সামসুল আলম, নাসির উদ্দিনমজুমদার, এন জামান ভূঁইয়া, আবদুল্লাহ আল মাসুদ, জামান সরকার, আবুল কালাম আজাদ, মোস্তাক সরকার, মাসুদ, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, সাজ্জাদ মুন্না, নাজমুল হাসান লিটন, রাইসুল, সেলিম মীর, জয়, সপনিল, আরফিন হাসান,   আবুল কালাম শহিদুল, জাফর,রুমী, জাহেদ হাসান, রফিকুল ইসলাম, তাসিন, লাবিব, প্রমুখ। বরাবরের মত এবারেও বাঙালিদের ঈদ উৎসবে ছিল বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি খাবার, একে অপরের বাড়িতে নিমন্ত্রণ খাওয়া, মাতৃভূমি বাংলাদেশে টেলিফোন করেপরিবারের ও আত্নীয়স্বজনের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও খোঁজ-খবর নেওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। ঈদের এই আনন্দে একে অপরের বাড়িতে নিমন্ত্রণ খাওয়ার রেওয়াজএকাধারে ৩-৪ দিন চলতে থাকে। মোটকথা মাতৃভূমির মায়া আর দেশে ফেলে আসা স্বজনদের জন্য ভালবাসা বুকে চেপে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের প্রবাসীরা সবাই পরষ্পর ভাগাভাগি করছেনআনন্দ। সুযোগ মতো ফোনে, ফেসবুকে, স্কাইপে যোগাযোগ হচ্ছে নিজ নিজ দেশে। অনেকেই অশ্রুসজল হয়ে পড়ছেন শয্যাশায়ী মা-বাবার জন্য, কেউ সন্তানেরকচিমুখ মনে করে চোখ মুছছেন। তবে সবকিছু ছাপিয়ে সবাই হাসিমুখেই উদযাপন করছেন ঈদকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here