ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরে সোহেল রানার প্রথম জানাজা সম্পন্ন

0
316

খবর৭১ঃ ফায়ারম্যান সোহেল রানার প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরে জানাজা সম্পন্ন হয়।

সেখান থেকে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।

ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের পরিচালক (অপস অ্যান্ড মেইনটেইন্যান্স) মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজ গণমাধ্যমকে বলেন, সকালে জানাজার আগে কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের ফায়ারম্যান সোহেল রানাকে সম্মান জানানো হয়েছে। বিউগলের সুর বাজিয়ে ফায়ার সার্ভিসের পতাকায় মোড়ানো সোহেল রানার কফিনে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ফায়ার সার্ভিসের চৌকস দল।

এর আগে সোমবার স্থানীয় সময় ভোরে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ফায়ার ফাইটার সোহেল রানা।

সোমবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে সোহেল রানার মরদেহবাহী সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও তার পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

সেখানে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অব অনার জানানো হয়। পরে মরদেহ নেওয়া হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে।

সোহেল রানার বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায়। বাবা নূরুল ইসলাম ও মা হালিমা খাতুন। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে সোহলে রানা দ্বিতীয়। ২০১৫ সালে ফায়ার সার্ভিসে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লাগার পর উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছিলেন রানা। ২৩তলা ওই ভবনে আটকা পড়াদের ল্যাডারের মাধ্যমে নামাচ্ছিলেন তিনি।

সোহেল যখন ৪-৫ জন উদ্ধার করে নিচে নামাচ্ছিলেন তখন উদ্ধারকারী ল্যাডারটি ওভারলোড দেখাচ্ছিল। ওভারলোড হলে সাধারণত সিড়ি নিচে নামে না স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক হয়ে যায়। তাই ল্যাডারের ওজন কমাতে এক পর্যায়ে সোহেল ল্যাডার থেকে বেয়ে নিচে নামছিলেন। ল্যাডারের ওজন কমায় সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যায়। ল্যাডারের ভেতরে সোহেলের একটি পা ঢুকে যায়। এছাড়া তার শরীরের সেফটি বেল্টটি ল্যাডারে আটকে পেটে প্রচণ্ড চাপ লাগে। এরপর থেকেই সংজ্ঞাহীন ছিলেন সোহেল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here