ফায়দা নিচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা বাগেরহাটে সবজীর বাম্পার ফলন হলেও হাসি নেই কৃষকের মুখে

0
842

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের চিতলমারীতে সবজি চাষে কৃষকের মুখে হাসি ফুটলেও হঠাৎ ফসলের দাম কমে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়ছে তারা। বিগত বছরের থেকে এবছর আবহাওয়া ভালো হওয়ায় শসা, করলা, বরবটি, চালকুমড়া, লাউ এবং ঝিঙ্গাসহ বিভিন্ন সবজির মাচায় প্রচুর ফল ধরায় এ অ লের কৃষকের মনে খুশির জোয়ার বইছে কিন্তু সবজির আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে । একদিকে ব্যাংক ঋনের ভার আন্য দিকে এনজিও এবং স্থানীয় সুদখোর দের সুদ আদায়ের চাপ। এ অবস্থায় চাষি’রা অজানা আশংকায় দিন কাটাচ্ছে। উপজেলার খাশেরহাট, শ্রীরামপুর, বাখেরগঞ্জ, কুরমনি, সুরশাইল, খড়মখালী, শৈলদাহ, কালিগঞ্জ, হিজলা,নালুয়া,বড়বাড়িয়া ও ডুমুরিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মৎস চাষের সাথে ঘেরের চারপাশের পাশে ভেড়ীতে চাষে, সবজির ব্যাপক ফলন হয়েছে যা দেখে কৃষকের আশায় বুকবাঁধতে শক্তি জুগিয়েছে। অথচ আড়ৎদার দের সিন্ডিকেট দর আর ইজারাদার দের অধীক মাত্রায় খাজনা আদায়ের কারনে বাজারে সবজী এনে কৃষকে হতাশায় পড়তে হচ্ছে ।
গত সোমবার চিতলমারী খাসেরহাট সবজির আড়ত ঘুরে দেখা গেছে,পাইকারী প্রতি মণ করল্লা ৭৫০ টাকা, শসা ৫০০ টাকা, বরবটি ৪৫০ টাকা, পুঁই শাক ৪০০ টাকা, বেগুন ৯০০ টাকা, কুশি ৭০০ টাকা এবং ঝিঙ্গা ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত হাটে প্রতিমন ১২শ থেকে ১৩টাকা,শশা হাজার ৫০টাকা থেকে ১২শ টাকা,বরবটি৭শ ৫০টাকা থেকে ৯শ টাকা বিক্রি হয়েছে। হঠাৎ বাজার দর পড়ে যাওয়াতে কৃষরা দিশে হারা হয়ে পড়েছে।দরপতনে বিষয়ে বাজারের কয়েক জন খুচরা বিক্রেতার সাথে কথা বললে আরিফুল ইসলাম নামের এক বিক্রেতা বলে,আমাদের এলাকার সবজি দেশের অন্যান্ন বাজাওে ব্যাপক চাহিদা আছে, বর্তমানে রাস্তা-ঘাট ভালো না থাকায় বাইরের বাজারের পাইকার,রা আসছে না।স্থানীয় বাজারে করলা ও শশার মুটমুটি চাহিদা থাকলে ও ঝিঙা,বরবটি,পুই,কুশি(চিচিঙা),ও একদম চাহিদানেই।
উপজেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে চিতলমারীতে ৩৪৫ হেক্টর জমিতে করল্ল,৬০৫ হেক্টর জমিতে শসা, ঢেঁড়স ৩০ হেক্টরে, চালকুমড়া ৩৫ হেক্টরে, মিষ্টি কুমড়া ৩৫ হেক্টরে, বেগুন ৩৫ হেক্টরে, বরবটি ৭০ হেক্টরে,চিচিংগা ৫০ হেক্টরে এবং ২৫ হেক্টর জমিতে পুঁই শাকের চাষসহ মোট ১৩০০ হেক্টর জমিতে সবজির চাষ হয়েছে। তবে বেসরকারি হিসাব মতে, এর দ্বিগুণ জমিতে প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার কৃষক সবজি চাষ করেছেন।
খলিশাখালী গ্রামের সবজি চাষি মিন্টু বিশ্বাস, চরবানিয়ারী উত্তম পাড়ার অসীম বাড়ৈ, পশ্চিম পাড়ার নিপুণ বিশ্বাস, রায় গ্রামের বলাই বিশ্বাস, কীর্তনখালী’র দিপংকর ঢালী,মুসলিম পাড়ার শাহজাহান শেখসহ আরো অনেকে জানান,এবার ফসলের বাম্পার ফলন হলেও হঠাৎ সবজির দাম কমে যাওয়ায় এবং মধ্যসত্ব ভোগীদ আড়ৎদার দের দৌরাত্বে ন্যায্য মূল্য থেকে বি ত হচ্ছি। চাষীরা অভিয়োগ করে বলেন স্থানীয় আড়ৎদার,রা সিন্ডিকেট করে বাইরের বাজারের পাইকার দেও আসতেদেয় না।আর বাইরের ক্রেতা না এলে আমরা ভালো দাম পাবো না।
এব্যাপারে নিয়ে চিতলমারী কৃষি অফিসার ঋতুরাজ সরকার জানান,কৃষি অফিস থেকে যথেষ্ট মনিটরিং চলছে।ফসলের ফলন বাড়ানর জন্য কৃষক দের বিষ মুক্ত চাষে উদ্ভূদ্ধ করা হচ্ছে।তবে বাজারজাতকরণের ব্যাপারটি তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here