খবর ৭১ঃ চিরচেনা ঢাকা এখন অনেকটা ফাঁকা। কারণ নাড়ির টানে রাজধানী ছেড়েছে লাখ লাখ মানুষ। এর প্রভাব পড়েছে রাজধানীর বিপণি বিতানগুলোতেও। কয়েক দিন আগে যেসব বিপণিকেন্দ্রে পা ফেলার জায়গা ছিল না সেখানে এখন ভিড় নেই বললেই চলে। যদিও বিক্রেতারা আশা করছেন আজ সন্ধ্যার পর ভিড় বাড়বে। কারণ অনেকে শপিংয়ের জন্য চাঁদরাতের অপেক্ষায় আছেন।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং সেন্টার, ধানমণ্ডির মেট্রো শপিং মল ঘুরে দেখা গেছে, মার্কেটে তেমন ভিড় নেই। অনেক দোকানিকে দেখা গেছে অলস সময় কাটাতে। তবে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ক্রেতাদের ভালোই ভিড় চোখে পড়েছে।
বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাকের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়নি তেমন। ঈদের কেনাকাটার শেষ সময় হওয়ায় অনেক ক্রেতাই নিজেদের পছন্দের পোশাক কিনতে পারছেন না।
আড়ংয়ে নিজের পছন্দের পোশাক কিনতে না পেরে অনেকটা মন খারাপ করে ফিরছিলেন আমিনুল ইসলাম নামে একজন ক্রেতা। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, একটা পাঞ্জাবি পছন্দ হয়েছিল, কিন্তু সাইজে মিলে নেই। সেলসম্যান বললো শেষ সময়ে পছন্দের সাইজের পাঞ্জাবি শেষ হয়ে গেছে।
একটি ব্র্যান্ডের দোকানের সেলসম্যান ঢাকাটাইমসকে বলেন, এখন বেশির ভাগ পোশাকের সাইজ সংকট দেখা যাবে। কালার মিললে সাইজ মিলবে না। বিক্রি প্রায়ই শেষ পর্যায়ে।
বসুন্ধরায় শপিং সেন্টারে অলংকারের একটি দোকানের কর্মচারী সালাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে দিনের বেলায় ক্রেতা কম। বেশির ভাগ মানুষইতো ঢাকা ছেড়ে চলে গেছেন। তবে আশা করি সন্ধ্যার পরে ক্রেতার সমাগম বাড়বে।’
নূরজাহান শপিং সেন্টারের দোকান মালিক সুমন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এবারের ঈদবাজারের বেচাকেনা ভালোই হয়েছে। এখন শেষ সময়ে ক্রেতা একটু কমই হওয়ার কথা। তবে সন্ধ্যা নাগাদ আশানুরূপ ক্রেতার সমাগম হবে বলে আশা করি।’
খবর ৭১/ইঃ