খবর৭১ঃ ঘূুর্ণিঝড় ‘ফণী’র আঘাত হানলে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর পরিবহন বিমান ও হেলিকপ্টারসমূহ। বিমানবাহিনী ঘাঁটি বাশারে খোলা হয়েছে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র।
শুক্রবার (৩ মে) রাতে আইএসপিআর এর সহকারী পরিচালক মো. নূর ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিমানবাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু, কুর্মিটোলায় পরিবহন বিমান সি-১৩০ এবং এএন-৩২ ঘূর্নিঝড় পরবর্তী উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঘূর্নিঝড় আক্রান্ত জনগণের তাৎক্ষনিক প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী বিতরণের জন্য তিনটি এএন-৩২ বিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া দুটি এমআই-১৭ এবং দুটি এডব্লিউ-১৩৯ হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ, ত্রাণ বিতরণ ও মেডিক্যাল ইভাকুয়েশনের জন্য। মেডিক্যাল ইভাকুয়েশনের জন্য ৩টি এল-৪১০ বিমানও প্রস্তুত রয়েছে।
এছাড়া তিনটি টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য। অন্যান্য হেলিকপ্টারও প্রস্তুত রয়েছে প্রয়োজনীয় মূহূর্তে ব্যবহারের জন্য।
তিনটি এএন-৩২ বিমানের মাধ্যমে প্যারাসুটের সাহায্যে দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় বিতরণের জন্য ১৫০০ প্যাকেট ত্রাণ প্রস্তত রাখা হয়েছে। এদিকে বিমান বাহিনী ঘাঁটি মতিউর রহমান বরিশাল বিমান বন্দরে প্রয়োজনীয় জনবল ও বিমান মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে ‘ফণী’ পরবর্তী জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তাসহ যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, খুলনা ও মোংলা নৌ অঞ্চলে নৌবাহিনীর ৩২টি জাহাজ সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় জরুরি ত্রাণ সামগ্রী এবং চিকিৎসা সহায়তা প্রদানে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।