প্রয়োজনে আমেরিকাকে সামরিক হস্তক্ষেপের অনুমতি দেয়া হবে: গুইদো

0
265

খবর৭১:দক্ষিণ অ্যামেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলায় চলছে বড় রকমের রাজনৈতিক সঙ্কট। একদিকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো অন্যদিকে বিরোধী নেতা হুয়ান গুইদো পরস্পরের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় সেখানে বিরাট রকমের রাজনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। চলমান এই সঙ্কট নিরসনে নিকোলাস মাদুরোকে জোর করে ক্ষমতাচ্যুত করার কথা বলছেন গুইদো।

সম্প্রতি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বঘোষিত এই প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি ভেনিজুয়েলার চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার অবসান ঘটাতে চাই।

এসময় তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে পদত্যাগে বাধ্য করার জন্য প্রয়োজনে আমেরিকাকে সামরিক হস্তক্ষেপের অনুমতি দেয়া হবে।

ভেনেজুয়েলায় যে সঙ্কট চলছে তার সূত্রপাত গত মে মাসে। সেসময় ভেনেজুয়েলায় সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মাদুরো। চলতি মাসের শুরুতে শপথ নেন বামপন্থি এ রাজনীতিক। তবে বিরোধীরা প্রথম থেকেই কারচুপির অভিযোগ তুলে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে।

মাদুরোবিরোধী বিক্ষোভ তুঙ্গে ওঠার পর ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন ৩৫ বছর বয়সী বিরোধী নেতা হুয়ান গুইদো। চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরোধী দলীয় নেতা ও স্বঘোষিত অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুইদোকে পূর্ণ সমর্থন জানায়। শুধু তাই নয় মার্কিন সরকার তাৎক্ষণিকভাবে ভেনিজুয়েলার তেল খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

এদিকে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ যেমন- যুক্তরাজ্য, স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানিও স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট গুইদোকে সমর্থন জানিয়ে মাদুরোর নিকট অতিদ্রুতই অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে।

অন্যদিকে রাশিয়া, চায়না ও তুরস্ক বর্তমান সঙ্কটে দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর পাশে থাকার কথা জানিয়েছে।

ভেনেজুয়েলার এই রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটার কোনো সম্ভাবনা এখনো দেখা যাচ্ছে না। ‘বিতর্কিত’ প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ক্ষমতা ছাড়ার বা নতুন নির্বাচনের দাবি মানতে নারাজ। সময় বাড়ার সাথে মাদুরোর ওপর দেশে-বিদেশের চাপ ক্রমে বাড়ছে।
খবর৭১/জি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here