প্রার্থীতা ফিরে পেলেন যে ৮১ জন

0
265

খবর৭১ঃএকাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) প্রথমদিনে ১৬০টি আপিল আবেদনের শুনানি হয়েছে। এর মধ্যে ৮১ জন বৈধতা পেয়েছেন। ৭৭ জনের আবেদন বাতিল ও ২ জনের আবেদন স্থগিত রেখেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এদের মধ্যে ৪টি আপিল আবেদনের পক্ষে কেউ উপস্থিত না থাকায় শুনানি হয়নি।

বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনের অস্থায়ী এজলাসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে দিনব্যাপী এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এ আপিল শুনানি করেছেন। এজলাসে ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদও উপস্থিত ছিলেন।

প্রথম দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন যারা:

বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী মোর্শেদ মিল্টন, ঢাকা-২০ আসনে ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. তমিজ উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান, চাপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে তৈয়ব আলি, পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি, চট্টগ্রাম-৫ আসনের মির মোহাম্মদ নাছির, ঝিনাইদহ-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মজিদ, ঢাকা-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী খন্দকার আবু আশফাক, জামালপুর-৪ আসনে ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম, পটুয়াখালী-৩ আসনে মোহাম্মদ শাহজাহান, পটুয়াখালী-১ আসনে মো. সুমন সন্যামত, মাদারীপুর-১ আসনে জহিরুল ইসলাম মিন্টু, সিলেট-৩ আসনে আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, জয়পুরহাট-১ আসনে ফজলুর রহমান, পাবনা-৩ আসনে হাসাদুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ-২ আসনে আবিদুর রহমান খান, নাটোর-১ আসনে বীরেন্দ্রনাথ সাহা, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে আয়নাল হক, গাজীপুর-২ আসনে মাহবুব আলম, গাজীপুর-২ আসনে জয়নাল আবেদীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে জেসমিন নূর বেবী, রংপুর-৪ আসনে মোস্তফা সেলিম, খুলনা-৬ আসনে এসএম শফিকুল আলম, হবিগঞ্জ-২ আসনে মো. জাকির হোসেন, হবিগঞ্জ-১ আসনে জুবায়ের আহমেদ, ময়মনসিংহ-৭ আসনে জয়নাল আবেদীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে আবদুল্লাহ আল হেলাল, ময়মনসিংহ-২ আসনে মো. আবু বকর সিদ্দিক, শেরপুর-২ আসনে এ কে মুখলেসুর রহমান, হবিগঞ্জ-৪ আসনে মাওলানা মোহাম্মদ সোলায়মান খান রাব্বানী, নাটোর-৪ আসনে আলাউদ্দিন মৃধা, কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মো. ইউনুছ আলী, বরিশাল-২ আসনে আনিচুজ্জামান, ঢাকা-৫ আসনে সেলিম ভূঁইয়া, কুমিল্লা-৩ আসনে এ কে এম মুজিবুল হক, মানিকগঞ্জ-১ আসনে মো. তোজাম্মেল হক, সিলেট-৫ আসনে ফয়জুল মনির চৌধুরী, ময়মনসিংহ-৩ আসনে আহম্মদ তাইবুর রহমান, ঝিনাইদহ-৪ আসনে আব্দুল মান্নান, ব্রাক্ষ্মবাড়িয়া-৩ আসনে সৈয়দ আনুর আহমদ লিটন, ব্রাক্ষ্মবাড়িয়া-৫ আসনে মো. মামুনুর রশিদ, ব্রাক্ষ্মবাড়িয়া-২ আসনে আবু আসিফ, ঢাকা-১৪ আসনে মো. জাকির হোসেন, পঞ্চগড়-২ আসনে মো. ফরহাদ হোসেন, মানিকগঞ্জ-৩ আসনে মো. আতাউর রহমান, ময়মনসিংহ-৮ আসনে এম এ বাশার, ঢাকা-১৪ আসনে সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক, কুড়িগ্রাম-৩ আসনে আব্দুল খালেক, কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মো. মাহফুজার রহমান, চট্টগ্রাম-১ আসনে নূরুল আমিন, ব্রাক্ষ্মবাড়িয়া-২ আসনে মুখলেসুর রহমান, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে মো. মাহবুব আলম, কুমিল্লা- ৫ আসনে মো. ইউনুছ, চাঁদপুর-৫ আসনে মো. নেয়ামুল বশির, বরিশাল-২ আসনে মোয়াজ্জেম হোসেন, চট্টগ্রাম-৩ আসনে মোস্তফা কামাল পাশা, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার মো. আশরাফ উদ্দিন, রংপুর-১ আসনে মো. আসাদুজ্জামান, গাইবান্ধা-৩ আসনে মো. আবু জাফর, কুড়িগ্রাম-৪ আসনে শাহ আলম, গাইবান্ধা-৩ আসনে মো. রফিকুল ইসলাম, গাইবান্ধা-৫ আসনে মো. নাজিবুল ইসলাম (শর্ত সাপেক্ষে), যশোর-৬ আসনে সাইদুজ্জামান, নড়াইল-২ আসনে ফকির শওকত আলি, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে ফকির শওকত আলি, নাটোর-৪ আসনে আব্দুল আজিজ, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে এম এ মুহিত, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে আব্দুর রহমান, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে মেজর (অব.) মনজুর কাদের, বগুড়া-৫ আসনে মো. আব্দুর রউফ মন্ডল জন, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে মো. হাবিবুর রহমান, বগুড়া-২ আসনে শফিকুল ইসলাম, বগুড়া-৬ আসনে মোহাম্মদ ফয়সাল বিন, রাজশাহী-১ আসনে মো. আমিনুল হক, দিনাজপুর-১ আসনে মোহাম্মদ হানিফ, গাইবান্ধা- ৩ আসনে আমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-৮ আসনে এরশাদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম-১০ আসনে মো. আনিছুর রহমান, গাইবান্ধা-৪ আসনে আব্দুর রহিম সরকার, কুমিল্লা-১১ আসনে মো. তাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-১৬ আসনে মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-৯ আসনে মোহাম্মদ দুলাল খান, ঝিনাইদহ-৩ আসনে মো. কামরুজ্জামান স্বাধীন।

যাদের আপিল খারিজ হয়েছে তারা হলেন:

নাটোর-২ আসনে মো. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, চাপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে নবাব মো. শামসুল হুদা, খাগড়াছড়ির আব্দুল ওয়াদুদ ভূইয়া, ঝিনাইদহ-১ আসনে আবদুল ওহাব, সাতক্ষীরা-২ আসনে আফসার আলি, মাদারীপুর-৩ আসনে মো. আবদুল খালেক, দিনাজপুর-২ আসনে মোকারম হোসেন, দিনাজপুর-৩ আসনে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, দিনাজপুর-১ আসনে মো. পারভেজ হোসেন, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে এস এম খলিলুর রহমান, ফেনী-১ আসনে মিজানুর রহমান, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে ড. মিজানুল হক, ময়মনসিংহ-৪ আসনে আবু সাইদ মহিউদ্দিন, নেত্রকোনা-১ আসনে মো. নজরুল ইসলাম, পঞ্চগড়-১ আসনে মো. তৌহিদুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-২ আসনে মো. এমদাদুল হক, খুলনা-২ এস এম এরশাদুজ্জামান, ঢাকা-১ মো. আসনে আইয়ুব খান, বগুড়া-৩ আসনে মো. আব্দুল মুহিত, বগুড়া-৬ আসনে এ কে এম মাহবুবুর রহমান, রাঙামাটির অমর কুমার দে, বগুড়া-৪ আসনে আশরাফুল হোসেন আলমের (হিরো আলম), ঢাকা-১৪ আসনে সাইফুদ্দিন আহমেদ, সাতক্ষীরা-১ আসনে এস এম মুজিবর রহমান, ব্রাক্ষ্মবাড়িয়া-৩ আসনে মো. বশির উল্লাহ, নওগাঁ-৪ আসনে মো. আফজাল হোসেন, মৌলভিবাজার-২ আসনে মহিবুল কাদির চৌধুরী, ফেনী-৩ আসনে হাসান আহমদ, ময়মনসিংহ-১০ আসনে মো. হাবিবুল্লাহ, জামালপুর-৪ আসনে মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ, বগুড়া-২ আসনে আব্দুল কাশেম, নীলফামারী-৪ আসনে মো. আমজাদ হোসেন, নীলফামারী-৩ আসনে মো. ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী, ব্রাক্ষ্মবাড়িয়া-২ আসনে আখতার হোসেন, লক্ষ্মীপুর-২ আসনে আবুল ফয়েজ ভূইয়া, কুমিল্লা-১০ আসনে আবুল কালাম আজাদ, কুমিল্লা-২ আসনে মো. সারওয়ার হোসেন, কুমিল্লা- ৪ আসনে মাহবুবুল আলম, নোয়াখালি-৩ আসনে এইচ আর এম সাইফুল ইসলাম, ফেনী-১ আসনে মো. নূর আহমদ মজুমদার। গাইবান্ধা-২ আসনে মো. মকদুবর রহমান, লালমনিরহাট-১ আসনে আবু হেনা মো. এরশাদ হোসেন, গাইবান্ধা-৩ আসনে মো. মনজুরুল হক, নীলফামারী-৪ আসনে আখতার হোসেন বাদল, লালমনিরহাট-৪ আসনে মো. জাহাঙ্গীর আলম, নীলফামারী-৪ আসনে মিনহাজুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মো. আবুল হাশেম, রংপুর-৫ আসনে মমতাজ হোসেন, কুড়িগ্রাম-১ আসনে মো. ওসমান গণি, বাগেরহাট-৪ আসনে আমিনুল ইসলাম, মাগুরা-২ আসনে খন্দকার মেহেদী আল মাসুদ, যশোর-২ আসনে সাবিরা সুলতানা, নড়াইল-১ আসনে শিকদার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, যশোর-২ আসনে হাজী মোহাম্মদ মহিদুল ইসলাম, সাতক্ষীরা-১ আসনে শেখ মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম, বগুড়া-৭ আসনে মো. সরকার বাদল, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে ইকবাল হাসান মাহমুদ, বগুড়া-৪ আসনে অধ্যাপক মো. জাহিদুর রহমান, নওগাঁ-২ আসনে আব্দুর রউফ মান্নান, নওগাঁ-৫ আসনে মো. নজমুল হক, বগুড়া-৭ আসনে মো. আব্দুর রাজ্জাক, নাটোর-৪ আসনে ডিএম রনি পারভেজ আলম, নাটোর-৪ আসনে শান্তি রিবার, সিরাজগঞ্জ- ৩ আসনে সাইফুল ইসলাম শিশির, দিনাজপুর-৪ আসনে হাফিজুর রহমান সরকার, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে নজরুল ইসলাম ভূইয়া, কুমিল্লা-৫ আসনে মো. শাহ আলম, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে মুশফিকুর রহমান, বান্দরবান-৩ আসনে মো. বকুল হোসেন, কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মো. আবিদ আলভী।এছাড়াও অপেক্ষমান রয়েছেন- কুড়িগ্রাম-৪ আসনে ইমান আলি ও চট্টগ্রাম-৯ আসনে মো. সামসুল আলম।

বৃহস্পতিবার আপিল শুনানীর প্রথমদিনে সকাল ১০টায় শুরু করে দুপুর ২টা পর্যন্ত একটানা ১০০ জন প্রার্থীর আপিল শুনানি নেয় ইসি। এর মধ্যে ৫৬ জনের আপিল গ্রহণ করে তাদের বৈধ প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এরপর মধ্যাহ্ন বিরতি শেষে বিকেল ৩টা থেকে ফের আপিল শুনানি শুরু হয়, চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এর আগে, গত ২৮ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমাদান প্রক্রিয়া শেষে ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্রগুলো যাচাই-বাছাই করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এতে ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এর মধ্যে ৫৪৩টি মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৩, ৪ ও ৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা। এসব আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে গতকাল থেকে। চলবে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here