প্রবাসীর স্ত্রী ও রাজমিস্ত্রিকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

0
359

খবর ৭১:অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলে এক প্রবাসীর স্ত্রী ও যুবককে মধ্যরাত থেকে একটি পেয়ারা গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। পরে শনিবার সকালে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।

নির্যাতিত রাজমিস্ত্রি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর এলাকার মজিবুর মোল্লার ছেলে সম্রাট। আর নির্যাতিত গৃহবধূ মেহেরপুরের গাংনীর সাহারবাটি গ্রামের গৃহবধূ।

অভিযুক্তরা হলেন একই গ্রামের ফয়জুদ্দীনের ছেলে গোলাম মোস্তফা, মনিরুল ইসলাম ও গ্রামের রুবেল হোসেন ও মিলন।

শনিবার রাতে মেহেরপুরের গাংনীর সাহারবাটি গ্রামে এ নির্যাতন ঘটনা ঘটে।

নির্যাতিতা জানান, কিছুদিন যাবৎ তাদের পাড়ার এক যুবক তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। সেই প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় শনিবার রাতে গ্রামে মসজিদ নির্মাণকারী বহিরাগত এক রাজমিস্ত্রিকে তার ঘরে তুলে দেয়।

এ সময় অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলে ফয়জুদ্দীনের ছেলে গোলাম মোস্তফা, মনিরুল ইসলাম ও গ্রামের রুবেল হোসেন ও মিলন তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে।

নির্যাতিত যুবক জানান, গত কয়েকমাস যাবৎ গ্রামের কলোনীপাড়ার একটি মসজিদ নির্মাণের কাজে নিয়োজিত ছিলেন তিনি। ঘটনার রাতে আনারুল ইসলামের ছেলে কালু, মসলেম আলীর ছেলে গোলাম হোসেন ও তাসের আলীর ছেলে জাবারুল ইসলাম তাকে জানালা দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে জোরপূর্বক ঢুকিয়ে দিয়ে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলে তাদের মারধর করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন।

সাহারবাটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার তহসিন আলী জানান, রাত দুইটার দিকে ঝড়বৃষ্টি শুরু হলে মসজিদের মুসুল্লিরা মসজিদ নির্মাণের মিস্ত্রির খবর নিতে গিয়ে মসজিদে তাকে দেখতে পাননি। পরে গ্রামের যুবকদের নিয়ে মসজিদের পাশের মালদ্বীপ প্রবাসীর বাড়িতে গিয়ে তাদের একঘরে পেয়ে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হয়।

গাংনী থানার ওসি হরেন্দ্র নাথ সরকার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী মুক্তা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে। অপরদিকে ২৯০ ধারায় অভিযুক্ত প্রবাসীর স্ত্রী এবং রাজমিস্ত্রির নামে মামলা দিয়ে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
খবর ৭১/ এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here