প্রধান বিচারপতিকে তল্লাশি করতে চাওয়ায় শাহজালালে তুলকালাম!

0
333

খবর৭১ঃ বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা কেন তাকে কোট খুলতে বলেছিল এই প্রসঙ্গ টেনে সেখানে হইচই শুরু করেন তার প্রটোকল অফিসাররা।

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে অ্যান্টি-হাইজ্যাকিং গেটে নিরাপত্তা তল্লাশির মধ্য দিয়ে যেতে অনুরোধ করায় উত্তেজিত হয়ে প্রধান বিচারপতির বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে তার প্রটোকলে থাকা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।

বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে । বুধবার সকাল ৮টার দিকে নভোএয়ারের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে যশোর যাওয়ার জন্য প্রটোকল অফিসার ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে বিমানবন্দরে যান প্রধান বিচারপতি। বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা প্রধান বিচারপতিকে তার গায়ের কোটটি খুলে স্ক্যানিং মেশিনে দেওয়ার অনুরোধ করেন। তিনি কোট খুলে নিরাপত্তা প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করতে গেলে পেছন থেকে প্রটোকল অফিসাররা তার পরিচয় জানান। প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন করেই প্রধান বিচারপতিকে ভেতরে যেতে দেওয়া হয়। সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে নভোএয়ারের সেই ফ্লাইটটি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

কিন্তু বিপত্তি শুরু হয় প্রধান বিচারপতি চলে যাওয়ার পর। বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা কেন তাকে কোট খুলতে বলেছিল এই প্রসঙ্গ টেনে সেখানে হইচই শুরু করেন তার প্রটোকল অফিসাররা। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এভিয়েশন সিকিউরিটি অফিসার ও প্রধান বিচারপতির প্রটোকল অফিসাররা। একপর্যায়ে সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন এভিয়েশন সিকিউরিটি অফিসারসহ অন্যদের বকাঝকা শুরু করেন প্রধান বিচারপতির প্রটোকলে থাকা তিন কর্মকর্তা। এভিয়েশন সিকিউরিটিতে প্রেষণে যুক্ত হওয়া একজন সহকারী পুলিশ সুপারের গলায় ঝোলানো আইডি কার্ড ধরেও টানাটানি শুরু করেন তারা।

এ বিষয়ে বিমানবন্দরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি আমাদের জন্য বিব্রতকর। মাননীয় প্রধান বিচারপতি চলে যাওয়ার পর তার সঙ্গে আসা কর্মকর্তারা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। গালাগাল করেছেন, যা কোনওভাবেই প্রত্যাশিত নয়।

তিনি জানান, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আইনের প্রতিটি বিষয় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ছাড়া দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্যই প্রযোজ্য। তাই প্রধান বিচারপতিকেও নিরাপত্তাকর্মীরা কোট খুলতে বলেছিলেন। তিনি নিজেও কোনও আপত্তি করেননি। তার প্রটোকল অফিসাররাই এ বিষয়ে প্রথমে আপত্তি করেন। তিনি চলে যাওয়ার পরে হইচই শুরু করেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোর্ট অফিসার (প্রটোকল) ওয়ারিস বলেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তার লোকজন মাননীয় প্রধান বিচারপতিকে তার পরনের কোট খুলতে বলেছিল। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছি। কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়নি।

খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here