প্রধানমন্ত্রী দেশে: কোটা সমস্যার সমাধানের প্রত্যাশা

0
402

খবর ৭১: সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ধরনের কোটা বাতিল ঘোষণা করলেও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের বিষয়ে তারই দিকে তাকিয়ে আছে মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেছেন আর তাই এই কোটা সমস্যার সমাধানের প্রত্যাশা করছেন সাধারণ মানুষ।

এই বিষয়ে ঢাবি শিক্ষার্থী রুহুল আমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেছেন আমরা আশা করছি এই কোটা নিয়ে যত জটিলতা শুরু হয়েছে তার অবসান হবে।

ঢাবি শিক্ষার্থী সৌরভ হাসান  এ প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি দৃঢ় আস্থা আছে এই কোটা সমস্যার সমাধান জননেত্রীর হাত দিয়ে হবে বলেই আমি বিশ্বাস করি।

এদিকে সৌদি আরব ও যুক্তরাজ্যে আট দিনের সরকারি সফর শেষে সোমবার প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২৮তম বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।

কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিফুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির উপস্থিত ছিলেন, সদস্য জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, এ. বি. এম ফজলে করিম চৌধুরী, র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মুস্তুফা লুৎফুল্লাহ, খোরশেদ আরা হক এবং জয়া সেন গুপ্ত। এছাড়া ও বৈঠকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব,কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব.বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের সচিবসহ মন্ত্রণালয় উপস্থিত ছিলেন।

আজ সোমবার সকালে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে লন্ডনের স্থানীয় সময় রবিবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৮টা (বাংলাদেশ সময় রবিবার দিবাগত রাত ১টা) হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। এসময় যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাজমুল কাওনাইন বিমানন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান। সোমবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে গমণ করা বিশেষ ফ্লাইটটি অবতরণ করে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোটা বাতিলের ঘোষণা পর কোটা সংস্কার আন্দোলন স্থগিত করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে কোটা বাতিলের ঘোষণা প্রজ্ঞাপন জারির দাবি করেছেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আগেই মন্ত্রণালয় কোটা সংস্কার নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছিল।

কিন্তু পুরা কোটা পদ্ধতিই বাতিল করায় এব্যাপারে এখন আর কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট ঘোষণা চাচ্ছে মন্ত্রণালয়।

তবে বৈঠকে এবিষয়ে তেমন কোনো আলোচনা হয়নি দাবি করে কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শুধু বলেছি এ বিষয়টি নিয়ে যেন কোনো ঝামেলা না হয়। কমিটির বৈঠকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন পদ্ধতি, গোপনীয়তা ও সুরক্ষা বিষয় এবং সরকারি কর্ম কমিশনের দক্ষতা ও মনোন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও নকল বন্ধ,পরীক্ষা পদ্ধতি ও পরীক্ষা কেন্দ্র কমানো এবং শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা যুগোপযোগী করার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। আগামী অর্থ বছরে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কলেজ সরকারি করণ এবং এমপিওভূক্ত প্রক্রিয়া বিষয়টি ত্বরান্বিত করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

জেলা শহরে অনেক অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সেগুলোর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসককে একটি নীতিমালার আওতায় আনার বিষয়ে কমিটি সুপারিশ করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here