খবর৭১ঃ গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ.ম রেজাউল করিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, নারায়ণগঞ্জের সাত খুনসহ দুর্নীতিগ্রস্থ খালেদা জিয়া ও তারেকের বিচার করে কার্যত দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার এই ধারাকে অব্যাহত রেখে দুর্নীতিবাজদের বিচারে চলমান অভিযানকে সহায়তা করতে আইনজীবীদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা এদেশের কিছু বিখ্যাত আইনজীবী ও প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের নিয়ে জুডিসিয়াল ক্যু করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু উনি ব্যর্থ হয়েছেন। এজন্য দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে হলে আইনজীবীদের শক্তিশালী সংগঠন দরকার।
গতকাল শনিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ালীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংগঠনের সাধারণ সভায় অ্যাডভোকেট শ.ম রেজাউল করিম এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহবায়ক ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন।
সভায় বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও কেন এখন পর্যন্ত সম্রাটকে (যুবলীগ নেতা) আটক করা হয়নি। কেন এ নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি করা হচ্ছে। তাকে বাঁচানোর জন্য কারা ষড়যন্ত্র/পাঁয়তারা করছে? এগুলো আমাদের দেখতে হবে।
তিনি বলেন, বেসিক ব্যাংক ডুবিয়েছেন আব্দুল হাই বাচ্চু। আজ পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কেন তার বিরুদ্ধে মামলা করেনি। প্রশ্ন জাগে মশা মারতে সিটি করপোরেশনের এই ব্যর্থতা কেন? মশা মারতে ওষুধ ক্রয়ের অর্থ কাদের পকেটে গেছে? কে বা কারা প্রকল্পের ২০ ভাগ অর্থ আগেই পকেটস্থ করে? কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সরকারের পেছনে কারা এই ষড়যন্ত্রকারী তা খুঁজে বের করতে হবে।
সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন, এতে সমস্ত জাতি তার পাশে রয়েছেন। যারা সুশাসনের বিরুদ্ধে কাজ করছেন তাদেরকেও তিনি আইনের আওতায় নিয়ে এসেছেন। আমরা অবশ্যই এটার প্রশংসা করি।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল বাসেত মজুমদার, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এএম আমিন উদ্দিন প্রমুখ আইনজীবী নেতৃবৃন্দ।