খবর ৭১ঃ নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণা শুরুর প্রথম দিনেই বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর সশস্ত্র আক্রমণ শুরু করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলে আভিযোগ করেছেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তিনি এ সকল কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বিভিন্নস্থানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থীদের প্রচারণার মাইক ভাংচুর এবং বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর করেছে করা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতেই আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে রক্তাক্ত করেছে।
“এদিকে প্রচারণার শুরুতেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে আইন শৃঙ্ঘলা বাহিনীর ছত্রছায়ায় মিছিল সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ। এ মিছিল থেকে তারা রাস্তার ধারে বিএনপির অফিস দেখলেই সেই অফিসে হামলা চালিয়ে তছনছ করেছে। এদিকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হলেও রাজধানীসহ সারাদেশে পুলিশী তাণ্ডব থামছেই না।”
তিনি বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি হামলা, গ্রেফতার ও গুম বন্ধ হচ্ছে না। পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ এখন ভয়ংকর আতংকের নাম। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী প্রচারণার ন্যুনতম পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত না করতে পারায় এসব হামলা হচ্ছে। সরব এবং নিরব সন্ত্রাসে জনগণের উদ্বেগ ও আতংক কাটছে না।
“আমরা বিভিন্ন স্থান থেকে জানতে পারছি-উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছ থেকে ব্লাঙ্ক রেজাল্ট শীটে স্বাক্ষর নিয়ে রাখছেন।