পৌর মেয়র ও ওসি বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

0
215

এস. এম. রাসেল, মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে ইউপি সদস্য খবির মৃধা নিহতের ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও এক পৌর মেয়রসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নিহতের বাবা নুরু মৃধা (৭০) বাদী হয়ে কালকিনি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রোববার এ মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় দুই দলের সংঘর্ষের মধ্যে কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য খবির গত বৃহস্পতিবার নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরও অন্তত ১০ জন।
এ ঘটনায় নিহত ইউপি সদস্য খবির মৃধার পিতা নুরু মিয়া বাদী হয়ে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলেন, কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা, কালকিনি পৌর মেয়র এনায়েত হোসেন, বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, হানিফ বেপারী, মশিউর রহমান রাজন, বাবু বেপারী, মুকুল বেপারী, আলী সরদার, বাদল তালুকদার, লাটু বেপারী, ওসমান বেপারী, খলিল ঘরামী, নাছির ঘরামী, গিয়াস উদ্দিন ফকির, খবির সরদার, সাঈদুল আকন, ফরিদ আকন, কুদ্দুস মাতুব্বর, মিরাজ ফকির, মালেক বেপারী, মিলন বেপারী, মজিবর ফকির, আকরাম হোসেন সহ ২৩ জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে বলে আসামি পক্ষের আইনজীবী মোঃ সেলিম মিয়া জানান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, কালকিনি থানার ওসি কৃপাসিন্দু বালা, পৌর মেয়র এনায়েত হোসেন ও খাসেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আকরাম হোসেনের হুকুমে বোমা মেরে খবিরকে হত্যা করা হয়।
আইনজীবী সেলিম মিয়া বলেন, মামলাটি ৩০২/৩৪ দন্ডবিধিসহ বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দিয়েছে।
অপর দিকে একই ঘটনায় নিহত মোঃ খবির মৃধার তালোই সিডু আকন বাদী হয়ে সায়েম খন্দকারসহ ১৫ জনকে আসামী করে কালকিনি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সংঘর্ষ চলাকালীন সময় উভয় পক্ষ বোমা বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটায়। এ সময় সায়েম খন্দকার নামের এক যুবক ইউপি সদস্য খবির মৃধাকে লক্ষ করে একটি বোমা নিক্ষেপ করেন। ওই বোমায় বিস্ফোরিত হয়ে ইউপি সদস্য খবির মৃধা ঘটনাস্থলেই নিহত হন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ইউপি সদস্য নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলার পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার জানান, ইউপি সদস্য খবির মৃধা নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আবার কোর্টে একটি মামলা হয়েছে শুনেছি। এখনও আদালতে করা মামলার কপি পাই নি। পেলে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইণানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here