মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর;
নীলফামারীর সৈয়দপুরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে সৈয়দপুর পৌরসভা কর্তৃক বাস ও ট্রাক টার্মিনালের বাইরে সড়ক- মহাসড়কে বিভিন্ন পরিবহন থেকে অবৈধ টোল আদায় বন্ধের এবং হাইকোর্ট ডিভিশনের আদেশ বাস্তবায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে নীলফামারী জেলা বাস -মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন ও নীলফামারী জেলা ট্রাক- ট্রাংকলড়ী শ্রমিক ইউনিয়ন যৌথভাবে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালস্থ নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র শ্রমিক নেতা মো. আখতার হোসেন বাদল।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সৈয়দপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ইজারাদারদের মাধ্যমে বাস ও ট্রাক টার্মিনালের বাইরে থেকে পার্কিংয়ের নামে অবৈধভাবে টোল আদায় করছে। এ বিষয়টি নীলফামারী জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কয়েক দফায় নীলফামারী জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবগত করে তা বন্ধের জন্য বলা হয়। কিন্তু এরপরও পৌর কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদেশ অমান্য করে গাড়ি প্রতি ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত টোল আদায় অব্যাহত রাখেন। এ অবস্থায় নীলফামারীর জেলা পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে গত ১৩ মে হাইকোর্ট ডিভিশনে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। নীলফামারী জেলা ট্রাক-ট্রাংকলড়ী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত কুমার রায় বাদী হয়ে হাইকোর্ট ডিভিশনে ওই রিট করেন। হাইকোর্ট ডিভিশন বাদীর ওই রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে সৈয়দপুর পৌরসভা কর্তৃক অবৈধ টোল আদায় বন্ধের আদেশ দেন। উক্ত আদেশের কপি নীলফামারী জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে দিলেও তা বন্ধে কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন না করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তকে অমান্য এবং হাইকোর্টের আদেশের তোয়াক্কা না করে সৈয়দপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে টোল আদায় করে চলেছেন।
লিখিত বক্তব্যে শ্রমিক নেতা আখতার হোসেন বাদল আরো বলেন, সৈয়দপুর পৌরসভা বাস ও ট্রাক টার্মিনালের বাইরে সৈয়দপুর শহরের অভ্যন্তরে এবং সড়ক-মহাসড়কে ইজারাদারদের মাধ্যমে পার্কিয়ের নামে সকল প্রকার যানবাহন থেকে ২৪ ঘন্টা অবৈধ টোল আদায় করাসহ পরিবহন শ্রমিকদের নানাভাবে হয়রানি, নির্যাতন করছে। যা সাধারণ শ্রমিকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। দিনের পর দিন এ ক্ষোভ দানা বাঁধছে। ফলে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত ও হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয় ওই সংবাদ সম্মেলনে। অন্যথায় আগামীতে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুঁসিয়ারী দেয়া হয়। আর এ জন্য যে কোন মুর্হূতে পরিবহন সেক্টরে অচলাবস্থার সৃষ্টি হলে শ্রমিক ইউনিয়ন দায়ি থাকবে না বলে সংবাদ সম্মেলন উল্লেখ করা হয়েছে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি মো. হারুনুর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন,সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মমতাজ আলী,দপ্তর সম্পাদক এফাজ উদ্দিন সরকার, কোষাধ্যক মো. মনছুর আলী, নীলফামারী জেলা ট্রাক-ট্রাংকলড়ী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. চাঁন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হায়দার আলী ও দপ্তর সম্পাদক আব্দুস্ সামাদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
