পেটের ছেলে এইভাবে মারবে, বৃদ্ধা মায়ের প্রশ্ন

0
271

খবর৭১ঃঃমানুষের বৃদ্ধা হওয়াটাই যেন সবচেয়ে বড় অপরাধ? আমার ঘর-সংসার, ছেলেমেয়ে সব থাকার পরও আজ আমি বড় অসহায়। জায়গা-জমি সব লিখে দিয়েছি। ঘরবাড়ি সব কিছু নিয়ে মুখে লাথি মেরে ফেলে দিল। পেটের ছেলে এভাবে মারবে মেনে নেয়া যায় না। আমার বাপ, মা, ভাই কেউ নেই। তাই বিচারের আশায় থানার সামনে সকাল থেকে বসে আছি।

শুক্রবার দুপুর ১২টায় কাতরকণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন নাটোরের সিংড়া উপজেলা কুষাবাড়ী গ্রামের ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা রহিমা বেওয়া।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলা কুষাবাড়ী গ্রামের মৃত হুসেন প্রামাণিকের স্ত্রী রহিমা বেওয়া প্রায় ১০ বছর পূর্বে তার স্বামীকে হারান। এরপর থেকেই তার ৭ ছেলেমেয়ের পরিবারে সঙ্গে জীবনযাপন করতে থাকেন। সম্প্রতি মেঝ ছেলে বেল্লাল হোসেন একটু বেশি আদরে হওয়ায় তাকে জমিজমা ও ঘরবাড়ি লিখে দেন।

শুক্রবার সকাল ৭টায় ছেলের কাছে টাকা চাইলে মায়ের মুখে লাথি মেরে ফেলে দেয় ছেলে বেল্লাল হোসেন। গ্রাম্য প্রধানদের সামনেই করা হয় মারপিট।

এদিকে থানার সামনে মাটিতে বসে একজন ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা মহিলাকে কাঁদতে দেখে এগিয়ে আসেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সিংড়া উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক। পরে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতায় বিষয়টি সিংড়া থানার ওসি মনিরুল ইসলামকে অবগত করা হয়।

বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সিংড়া উপজেলার সভাপতি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, বৃদ্ধা মায়ের মুখে লাথি মেরে ফেলে দেয়া দুঃখজনক বিষয়। ওই বৃদ্ধা মহিলাকে সহযোগিতা করার জন্য মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা পাশে রয়েছেন।

সিংড়া থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, কোনো ছেলে তার মায়ের মুখে লাথি মেরে ফেলে দিতে পারে এটা অমানবিক বিষয়। ছেলে বেল্লাল হোসেনকে আটক করতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here