খবর ৭১ঃ চাঁদপুরের শাহরাস্তি, লালমনিরহাট, নওগাঁ এবং লক্ষ্মীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় জন ৮ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শাহরাস্তিতে বাসের ধাক্কায় সিএনজি- অটোরিকশার ৫ যাত্রী মারা গেছেন। এছাড়া রাস্তা পারাপারের সময় লক্ষ্মীপুরে পিকআপ চাপায় মারা গেছে এক শিশু মাদ্রাসাছাত্র ও লালমনিরহাটে ট্রলি খাদে পড়ে মারা গেছেন এক কলেজছাত্র। নওগাঁয় মারা গেছে এক ফায়ার সার্ভিস কর্মী।
এদিকে, চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে বাস-সিএনজি অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে নারী-শিশুসহ ৫ যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- রনজিত চন্দ্র (৫২), ফকরুল ইসলাম (৭৫), আবুল কালাম (৬২), জান্নাতুল ফেরদৌস (২৮) ও রুমা (৮)।
রুমা জান্নাতুল ফেরদৌসের মেয়ে। আজ সকাল ৯ টায় শাহরাস্তির কাকৈরতলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীরা জানায়, হাজীগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া বাস করডোবা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলে ৪ যাত্রী নিহত হন। অপর অটোরিকশার এক নারী যাত্রীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
লক্ষ্মীপুরে: লক্ষ্মীপুর-মজুচৌধুরীহাট সড়কের শাকচর এলাকায় পিকআপের চাপায় তৃতীয় শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্র নিহত হয়েছে। নিহত ইয়াছিন হামিদ মিয়াজী শাকচর এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে। আজ রোববার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুর-মজুচৌধুরীরহাট সড়কের মাদ্রাসার সামনে রাস্তায় গাছ ফেলে ঘন্টাব্যাপী অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, ইয়াছিন সকালে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে রাস্তা পার হওয়ার সময় লক্ষ্মীপুর থেকে দ্রুত গতিতে ছেড়ে আসা পিকআপটি তাকে চাপা দেয়। এতে গুরুতর আহত হয় ইয়াছিন। পরে সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় সে।
এ ঘটনার পর বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা সড়কে গাছ ফেলে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে করে সড়কে চলাচলকারী যানবাহন বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিচারের আশ্বাস দিলে সড়ক অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা। পরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লোকমান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়ক অবরোধ তুলে দেয়। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় ট্রলি খাদে পড়ে ফরিদুল ইসলাম সাদ্দাম (২৮) নামে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন।
শনিবার দিনগত রাতে উপজেলার কাকিনা মহিপুর বাইপাস সড়কের মহিপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত কলেজছাত্র ফরিদুল ইসলাম সাদ্দাম কালীগঞ্জ উপজেলার বৈরতী গ্রামের আশরাফ আলী ছেলে। তিনি রংপুর কারমাইকেল কলেজের সম্মান শ্রেণির ছাত্র।
পুলিশ জানায়, রাতে সাদ্দাম রংপুর কারমাইকেল কলেজ ছাত্রবাস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি মহিপুর এলাকায় পৌঁছালে নিজেদের ট্রলির দেখা পেলে অটোরিকশা ছেড়ে ট্রলিতে ওঠেন। এরপর ট্রলিটি কিছুদূর যেতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গর্তে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই সাদ্দাম মারা যান।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাত হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, নিজেদের ট্রলিতে দুর্ঘটনা ঘটার কারণে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।