পূর্ব গৌতায় আরো রাসায়নিক অস্ত্রের কারখানার সন্ধান

0
250

খবর ৭১ঃ সিরিয়ার পূর্ব গৌতায় রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির আরো একটি কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। সরকারি বার্তা সংস্থা সানা মঙ্গলবার জনিয়েছে, সম্প্রতি মুক্ত করা আশ-শাইফুনিয়া শহরে গোপন এ কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই এলাকায় সন্ত্রাসীরা বোমা পেতে রাখতে পারে -এমন সন্দেহে সরকারি সেনাদের তল্লাশির সময় এ কারাখানার সন্ধান পাওয়া যায়।

সিরিয়ার একজন শীর্ষ পর্যায়ের সেনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সানা জানিয়েছে, দুইতলা একটি ভবনে সন্ত্রাসীরা রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির এ কারখানা প্রতিষ্ঠা করেছিল যাতে সৌদি আরব থেকে আসা রাসায়নিক উপদান ব্যবহার করা হচ্ছিল। ওই কারখানা থেকে পাশ্চাত্যে নির্মিত কিছু সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ সেনা কর্মকর্তা জানান, তাকফিরি সন্ত্রাসীদের কিছু লোগো, ম্যানুয়াল ও সৌদি আরব থেকে আসা বই-পুস্তক, নানা ধরনের বিস্ফোরক, প্রাণঘাতী অস্ত্র তৈরির উপকরণ এবং ভয়াবহ ক্লোরিন উদ্ধার করা হয়। সিরিয়ার এ সেনা কমান্ডার বলেন, ভবনটিতে উঁচু মাত্রার প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম পাওয়া গেছে যা থেকে এই ইঙ্গিত মিলছে যে, সেখান সৌদি আরব ও ইউরোপের বিশেষজ্ঞরা কাজ করছিল। গত কয়েক বছর ধরে পূর্ব গৌতা সন্ত্রাসীদের দখলে রয়েছে।

হোয়াইট হাউজের বৈঠক বয়কট করল ফিলিস্তিনিরা

গাজা উপত্যকার চলমান পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য হোয়াইট হাউজে আয়োজিত বৈঠক বয়কট করেছে ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষ।

গতকাল (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে মার্কিন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ইহুদিবাদী ইসরাইল ও সৌদি আরব উপস্থিত ছিল।

গত ৬ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস শহরকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পর প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষ আমেরিকার ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে তারা এ বৈঠক বয়কট করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

হোয়াইট হাউজ এই প্রথম এ ধরনের বৈঠকের আয়োজন করল। বৈঠকে ইসরাইল ও সৌদি আরব ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, বাহরাইন, ওমান, কাতার, জর্দান, কানাডা এবং ইউরোপের কয়েকটি দেশসহ ১৭টি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

২০ লাখ জন-অধ্যুষিত গাজা উপত্যকা ২০০৭ সাল থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের কঠোর অবরোধের মধ্যে রয়েছে এবং সেখানে অনেকটা মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ওই অবরোধের পর ইসরাইল গাজার ওপর অন্তত দুবার বড় রকমের যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে।

সম্প্রতি জাতিসংঘ বলেছে, ২০২০ সালের মধ্যে গাজা উপত্যাকা বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে উঠবে। তবে ইসরাইল বলছে, গাজার ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য অবরোধ অব্যাহত রাখবে।

খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here