পূর্বাচলে স্টেডিয়ামের জমি নিয়ে টানাটানি

0
418

খবর৭১: পুর্বাচলে আধুনিক স্টেডিয়াম তৈরির জমি নিয়ে টানাটানি চলছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মধ্যে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কাছ থেকে যে ৩৭.৫০ একর জমি বরাদ্দ নিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। তবে স্টেডিয়াম নির্মানের জন্য পুরো জায়গাই চাচ্ছে বিসিবি। যদিও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বিসিবিকে দিতে চায় ১৭ একর জমি। আর ২০.৫০ একর জমিতে ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে একটি কমপ্লেক্স তৈরির পরিকল্পনা তাদের।

২০১৭ সালে ৩০ অক্টোবর আন্তঃমন্ত্রণালয়ের একটি সভায় বিসিবিকে স্টেডিয়াম তৈরির জন্য ১৭ একর জমি দিয়ে বাকি জায়গায় কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ওই প্রস্তাবনার সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছিলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।

কিন্তু বর্তমানে দুই পক্ষের মধ্যেকার জমি নিয়ে টানাটানির কারণে প্রধানমন্ত্রী ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রেরিত সারসংক্ষেপ অনুমোদন করেননি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাথে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে নতুন করে আলোচনা করে আবার সারসাংক্ষেপ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। যার কারণে পূর্বাচলের স্টেডিয়াম কেমন হবে, কারা নির্মাণ করবে এসব নির্ভর করছেন যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বিসিবির মধ্যেকার দ্বি-পাক্ষিক সভার উপর। চলতি মাসেই এই আলোচনা হবে বলে জানান বিসিবির এক সদস্য।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিসিবির এক পরিচালক এক অনলাইন পোর্টালকে জানান,‘আমরা স্টেডিয়ামের জন্য পুরো জমিটাই চাই। পূর্বাচলে দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে তৈরি হবে স্টেডিয়ামটি। যার ধারণক্ষমতা হবে ৬৫-৭০ হাজার দর্শক। সাথে থাকবে অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা। পাশপাশি সেখানে পাঁচ তারা হোটেলও নির্মাণ করা হবে।’

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কাছ থেকে এই জমি পেতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের খরচ হবে ৩৩০ কোটি। আর পু্রো জায়গার জন্য লাগবে এর পাঁচ গুন। সেই সাথে স্টেডিয়াম ও কমপ্লেক্স নির্মানের বিশাল খরচতো আছেই। তাছাড়া পূর্বাচলে স্টেডিয়ামটি তৈরি হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণামতে।
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here