পুজা মন্ডপে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের দায়িত্ব বন্টন অনুষ্ঠানে,এসপি জসিম উদ্দিন:নড়াইলের কোনো নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই!

0
334

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলে পুজা মন্ডপে দ্বায়িত্বপালনকারি পুলিশ ও আনসার সদস্যদের দায়িত্ববন্টন অনুষ্ঠানে, কোনো নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই: পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন, পিপিএম, বর্তমান সরকারের মেয়াদের শেষ পুজা এটা। অল্প কিছুদিন পরেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই দূর্গা পুজাকে কেন্দ্র করে কোন বিশৃঙ্খলা পরিবেশ যাতে না ঘটে সে জন্য পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সকল সদস্যদের সজাগ থাকতে হবে। তাই নড়াইলের প্রতিটা পুজা মন্ডপে আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে, (১৫ অক্টোবর) হতে বিসর্জন পর্যন্ত দিনরাত ২৪ ঘন্টা নিরবিচ্ছিন্ন পাহারা দিবে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। ১৫ অক্টেবর (সোমবার) বেলা ১২টায় নড়াইল সদর থানা চত্বরে আয়োজিত পুজা মন্ডপে দ্বায়িত্বপালনকারি পুলিশ ও আনসার সদস্যদের দায়িত্ববন্টন অনুষ্ঠানে এই সব কথা বলেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ জসিম উদ্দিন পিপিএম। এসময় উপস্থিত ছিলেন নড়াইলের সহকারি পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো: মেহেদী হাসান, নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আনোয়ার হোসেনসহ পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ। পুলিশ সুপার আরো জানায়, ধর্ম যারযার উৎসব সকলের, নড়াইলের প্রতিটা মানুষকে উৎসবমূখরভাবে হিন্দু ধর্মের সব থেকে বড় এই ধর্মীয় উৎসব পালনে সহযোগিতা করার জন্য আহব্বান জানান। পুলিশ জানায়, নড়াইলে তিনটি উপজেলায় প্রায় ৬শ পুজা মন্ডবে হিন্দু ধর্মের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। গুরুত্ব বুঝে প্রতিটা মন্ডবে ৪ থেকে ৬জন আনসার সদস্যা সার্বক্ষনিক ডিউটি করবে। পাশাপাশি পুলিশও থাকবে। এ সময় মন্দিরের নিরাপত্তার স্বার্থে পূজা ম-পে কোনো ধরনের ব্যাগ, দাহ্য পদার্থ বহন না করারও অনুরোধ জানান নড়াইলের পুলিশ সুপার বলেন, প্রতিটি ম-প ঘিরে আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো। আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, আমরা নড়াইলবাসীকে জানাতে চাই, কোনো ধরণের কোনো নিরাপত্তা শঙ্কা নেই। তবে আমরা সতর্ক থাকবো, যাতে জনগণের জানমালের কোনো ক্ষতি না হয়। নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম, বলেন, নড়াইলের ৫৬৩টি ম-পে পূজা উদযাপিত হবে। বিশেষ ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে সবগুলো ম-পে আমাদের পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। বড় ম-পগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা, প্রবেশদ্বারে আর্চওয়ে মোতায়েন করা হবে। পোশাকি পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা তৎপর থাকবেন। ম-পগুলোর পাশে ফায়ার টেন্ডার থাকবে। কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। এখানে নড়াইলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, পিপিএম, সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ মেহেদী হাসান, সহকারি পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার্স) মোঃ জালাল উদ্দিন, সহকারি পুলিশ সুপার (প্র.বি.) মোঃ ইশতিয়াক আহম্মেদ, নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন, ডিবি পুলিশের ওসি আশিকুর রহমান। পূজা চলাকালে পটকা, আতশবাজি ও মাদকদ্রব্যের ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। যেসব জায়গায় বিসর্জন দেওয়া হবে সেসব জায়গায় বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। পূজা চলাকালে মুসলমান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় কার্যক্রম যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সেজন্য নামাজ ও আজানের সময় বাদ্যযন্ত্র না বাজানো বা সীমিত রাখার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া আগামী শুক্রবার জুম্মার নামাজ উপলক্ষ্যে দুপুর ১২ টা থেকে ২টা পর্যন্ত সব ধরনের বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম, তিনি, আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, পূজা শুরুর আগে থেকেই বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা চেকপোস্ট চালু করা হয়েছে। পূজা ম-পগুলোতে ব্যাগ, ব্যাগপ্যাক,ছুরি, চাকু ও দাহ্যপদার্থ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া শোভাযাত্রায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। শোভাযাত্রার পথে কোনও ধরনের হকার বা অস্থায়ী দোকান থাকতে দেওয়া হবে না। এসব নিরাপত্তার মাধ্যমে পূজা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here