পিরিয়ডের ব্যথায় কেন গরম পানি খাবেন?

0
310

খবর৭১ঃপ্রত্যেক নারীর সাধারণত মাসে একবার পিরিয়ড হয়ে থাকে। পিরিয়ড নিয়মিত হওয়া ভালো। তবে এক্ষেত্রে যদি ব্যত্যয় ঘটে, তবে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। মাসিক চলাকালীন পেটব্যথা, পিঠব্যথা ও বমি বমি ভাব হয়ে থাকে।

পিরিয়ড সময় কম-বেশি সকলের পেট ব্যথা হলেও অনেকের মাত্রাতিরিক্ত ব্যথা হয়। পিরিয়ডের সময়টা কোন ভাবেই সাধারণ সময় নয়। সুতরাং, স্বাভাবিক ভাবেই এই সময়টায় কিছু অস্বস্তি সকলের মধ্যেই থাকে।

অল্প-বিস্তর ব্যথা সকলেরই থাকে। আবার কমেও যায়। কিন্তু কারও কারও ক্ষেত্রে ব্যথা মাত্রারিক্ত হয়ে যায়। সেটাই বিপদের।

পিরিয়ড কী

প্রতি চন্দ্র মাস পরপর হরমোনের প্রভাবে পরিণত মেয়েদের জরায়ু চক্রাকারে যে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায় এবং রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত অংশ যোনিপথে বের হয়ে আসে, তাকেই পিরিয়ড বা ঋতুচক্র বলে। মা‌সি‌ক চলাকালীন পেটব্যথা, পিঠব্যথা ও বমি বমি ভাব হতে পারে। পিরিয়ডে ভালো মানের ন্যাপকিন ব্যবহার করা জরুরি। এ ছাড়া কোনোভাবেই একই কাপড় পরিষ্কার করে একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না। পিরিয়ডের সময় শরীর থেকে যে রক্ত প্রবাহিত হয়, তার মধ্যে ব্যাকটেরিয়া থাকে।

পিরিয়ডের সময় গরম পানি খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেই পিরিয়ডের সময় গরম পানি কেন খাবেন?

খাবার খাওয়ার পর গরম পানি

পিরিয়ড চলাকালীন বা অন্য যে কোনো সময় খাবার খাওয়ার পরপর ঠাণ্ডা পানির পরিবর্তে হালকা গরম পানি খাওয়া পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। ঠাণ্ডা পানির কারণে সাধারণত যে যে সমস্যাগুলো হয়ে থাকে সেগুলো গরম পানি খেলে একেবারেই হয় না।

বদ-হজম

খাবার খাওয়ার পর গরম পানি খেলে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে। ফলে বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার কোনো সুযোগই পায় না।

পিরিয়ডের ব্যথা

পিরিয়ডের সময়ে মেনস্ট্রয়াল ক্র্যাম্পের প্রকোপ কমাতে গরম পানির কোনো বিকল্প হয় না। এই সময় গরম পানি পান করা শুরু করলে অ্যাবডোমিনাল মাসলের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে ব্যথা কমতে সময় লাগে না।

খুশকির প্রকোপ

খুশকির প্রকোপ কমাতে গরম পানি বেশ কার্যকরী। সারাদিন ধরে গরম পানি পান করলে নানা কারণে স্কাল্পের হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতা ফিরে আসে। ফলে খুশকি দ্রুত কমে।

শুষ্ক ত্বকের সমস্যা

গরম পানি খেলে শরীরের ভিতরে নানা পরিবর্তন হতে শুরু করে, যার প্রভাবে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর হয়। এছাড়া ত্বকে প্রবাহের মাত্রা বাড়তে শুরু করায় স্কিন টোনের উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না।

বলিরেখা হ্রাস

গরম পানি স্কিন সেলের ক্ষত সারিয়ে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। সেই সঙ্গে ত্বক টান টান হয়ে ওঠে এবং বলিরেখাও হ্রাস পায়। ফলে বয়সের কোনো ছাপই ত্বকের উপর পরতে পারে না।

চুল পড়া কমায়

গরম পানি খাওয়া শুরু করলে প্রতিটি হেয়ার সেলের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে হেয়ার ফলের মাত্রা তো কমেই, সেইসঙ্গে চুলের সৌন্দর্য বাড়ে চোখে পরার মতো।

শরীর বিষমুক্ত হয়

গরম পানি খাওয়া মাত্র শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে ঘাম হতে শুরু হয়। আর ঘামের মাধ্যমে টক্সিন বেরিয়ে যেতে শুরু করে। এতে করে শরীর সহজেই বিষমুক্ত হয়।

অতিরিক্ত ওজন

গরম পানি খেলে অতিরিক্ত এজন কমে। গরম পানি খেলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। ফলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমার সুযোগই থাকে না।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here