খবর ৭১ঃ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি উপজেলা নির্বাচনে তিন পার্বত্য জেলায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্বে থাকবেন।
বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে ৫ম উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত বিভাগীয় আইনশৃংখলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, সুষ্ঠভাবে ভোটের লক্ষ্যে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে নির্বাচনী দায়িত্বে সেনাবাহিনীকে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
‘কক্সবাজার সদর উপজেলায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে। সেখানে বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনী ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকবে।’
অনিয়ম সহ্য করা হবে না জানিয়ে ইসি সচিব, প্রথম ধাপের নির্বাচনে ২৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া অনিয়মের সঙ্গে জড়িত প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ইসি সুষ্ঠ ভোট চাই। তাই অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি আওতায় আনা হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ইসি শাস্তির আওতায় আনবে।
ভোটের সময় পর্যটন এলাকাগুলোতে যাতায়াতে নিরূৎসাহিত করা হবে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনের দিন, আগে ও পরের দিন যাতে পর্যটক সেখানে না যান সে ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
নির্বাচনকালীন রোহিঙ্গা ক্যাম্প সিলাগালা থাকবে জানিয়ে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো সিলাগালা থাকবে। যাতে তাদের ব্যবহার করে কোনো অরাজকতা সৃষ্টির সুযোগ না থাকে।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, প্রথম ধাপে ৮৭টি উপজেলার মধ্যে ৭৮টি-তে ভোট হয়েছে। সেখানে কোনো অনিয়ম হয়নি। কেউ আহত কিংবা নিহতও হয়নি।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর রঞ্জন সাহার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম।
সভায় আইনশৃংখলা বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন।
খবর ৭১/ইঃ