পালিয়ে যাবার পথ খুঁজছে সরকার : রিজভী

0
249

খবর ৭১ঃ মানুষের ক্ষোভের ধাক্কায় পালিয়ে যাবার পথ খুঁজছে সরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি’র এজেন্ট দেয়া দূরে থাক, প্রার্থীও যাতে খুঁজে না পাওয়া যায়, সেজন্য সরকার মামলা-হামলার আগাম আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। অবৈধ সরকার এখন উন্মাদের দশায় পৌঁছেছে। এরা আত্মবোধহীন উন্মাদে নিজেদের পর্যবসিত করেছে। মানুষের ক্ষোভের ধাক্কায় পালিয়ে যাবার পথ খুঁজতেই অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার বেসামাল হয়ে ভুয়া মামলা ও গ্রেপ্তারকে কাজে লাগিয়ে টিকে থাকতে চাচ্ছে। খুন, গুম, লুটপাট, দখলবাজি, মিথ্যা মামলায় মানুষকে হয়রানি করার বরপুত্র হলো আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনার স্বনির্মিত এই পুলিশি রাষ্ট্রএখন উৎখাত করার জন্য মানুষ ঐক্যবদ্ধ। শাসকদল পুলিশকে যেভাবে ব্যবহার করছে তা নজীরবিহীন।

রিজভী আহমেদ আরো বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার বিপুল জনপ্রিয়তায় ঈর্ষা ও বিদ্বেষের বশবর্তী হয়ে অবৈধ সরকারের প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে জেলে রেখেছেন অন্যায়ভাবে, সেজন্য দেশনেত্রীর মুক্তির দাবিতে দেশজুড়ে চলছে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ। তার বিরুদ্ধে সরকারের দেয়া মামলা জনগণ বিশ্বাস করে না। সরকার তাই তার অসুস্থতাকে হিংসা চরিতার্থের টার্গেট করেছে। অর্থাৎ বিনা চিকিৎসায় দেশনেত্রীকে শোচনীয় দুর্দশায় উপনীত করার লক্ষ্যে কৌশলী চক্রান্ত চালাচ্ছে। বেগম জিয়ার পছন্দ মতো চিকিৎসকদের দ্বারা চিকিৎসা নেয়ার অধিকার নেই। সরকারই ঠিক করে দিচ্ছে কারা হবেন বেগম জিয়ার চিকিৎসক। তাই সরকার পরিবারসহ জনগণের দাবিকে পাত্তা না দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় এমন চিকিৎসকদের দিয়ে তার মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে। অর্থাৎ ক্ষমতাসীনদের অনুগত চিকিৎসকরা বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রথমে শেখ হাসিনাকে রিপোর্ট করবেন, তারপরে শেখ হাসিনা যা বলে দেবেন সেই অনুযায়ী চিকিৎসা চলবে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সুযোগ না দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের ডাক্তারদের দিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন দুরভিসন্ধিমূলক। গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তির চিকিৎসা নিয়ে এটি এক চরম তামাশা। এর মাধ্যমে বেগম জিয়ার মানবাধিকার কেড়ে নেয়া হলো। বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আশ্বাস দেয়ার পরও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা রাখেননি। আওয়ামী লীগ দল হিসেবে প্রকৃতিগতভাবেই ডাবল স্ট্যান্ডার্ড। দেশনেত্রীর চিকিৎসা নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অপরিণামদর্শিতার মাশুল একদিন তাদের দিতেই হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবেই বেগম জিয়াকে গুরুতর শারীরিক অসুস্থতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সেজন্যই নিজ দলের অনুগ্রহভাজন ডাক্তারদের দিয়ে বেগম জিয়ার চিকিৎসা জনমনে সন্দেহ ও শংকার সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত বিপজ্জনক। যদি হিংসাশ্রয়ী মনের সাধ মেটানোর চক্রান্ত করে দেশনেত্রীর ক্ষতি করা হয় তাহলে সরকারের পরিণাম হবে ভয়াবহ। আমি আবারও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের মেডিকেল বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, সহকারী বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রওনকুল ইসলাম টিপু, মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হেলেন জেরিন খান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ আবু জাফর প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here