খবর ৭১ঃদিনের পর দিন নিজের বাবা ও সৎ ভাইয়ের লালসার শিকার হয়েছেন এক স্কুলছাত্রী। কিন্তু কখনও কাউকে বলতে পারেননি। এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ভ্রুণ নষ্ট করে ফেলতে বাধ্য করেন বাবা।
চাঞ্চল্যকর এমন ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার চাটমোহর উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নের বালুদিয়ার দক্ষিণপাড়া গ্রামে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয়েছে ওই এলাকায়। আর অবস্থা বেগতিক দেখে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত বাবা-ছেলে।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী, তার স্বজন ও প্রতিবেশিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বালুদিয়ার দক্ষিণপাড়া গ্রামের গুড় ব্যবসায়ী আনু মন্ডলের দ্বিতীয় স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিন মেয়েকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। এরমধ্যে দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়। এরপর থেকেই নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছোট মেয়ে বাড়িতে একা থাকার সুযোগে তাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে বাবা। এতে যোগ দেয় আনু মন্ডলের প্রথম পক্ষের ছেলে রিপন হোসেন। দিনের পর দিন বাবা ও সৎ ভাইয়ের লালসার শিকার হয়ে এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ওই স্কুল ছাত্রী।
লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি প্রথমে কাউকে বলতে না পারলেও সম্প্রতি তার মামিকে বিষয়টি জানান, পরে আনু মন্ডল জোরপূর্বক ওই স্কুল ছাত্রীর ভ্রুণ নষ্ট করতে বাধ্য করে। এতোদিন বিষয়টি চাপা থাকলেও বৃহস্পতিবার এলাকায় ঘটনাটি জানাজানি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, থানা পুলিশ গিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীর জবানবন্দি রেকর্ড করে থানায় অভিযোগ দিতে বলে। এদিকে এ ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত বাবা আনু মন্ডল ও তার ছেলে রিপন হোসেন। বর্তমানে মেয়েটি তার মামার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
এ বিষয়ে ওই স্কুল ছাত্রীর মামা বাবলু খন্দকার ও গ্রামপ্রধান মীর লিয়াকত আলী বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত অমানবিক ও লজ্জাজনক। বাবা-ছেলে (আনু মন্ডল ও রিপন) মিলে অমানুষের মতো কাজ করেছে। এর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হওয়া দরকার। আমরা ওই দুইজনকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।
ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে মূলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম বকুল বলেন, এরা সমাজের জঘণ্য লোক। এ ধরনের লোকের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত। এছাড়া ওই স্কুল শিক্ষার্থীকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে বলে জানান চেয়ারম্যান।
এ ব্যাপারে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) তাপস কুমার পাল বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া পুলিশের দু’টি টিম অভিযুক্ত বাবা ছেলেকে আটকের চেষ্টা করছে।
খবর ৭১/ইঃ