পাকিস্তানকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমির পথে বাংলাদেশ

0
340

খবর ৭১: পাকিস্তানকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রতিযোগিতায় সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে বিশ্বনাথ ঘোষের লম্বা থ্রোয়ে মাথা লাগিয়ে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ডিফেন্ডার তপু বর্মণ।

দিনের প্রথম ম্যাচে নেপাল ভুটানকে ৪-০ গোল হারানোয় পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল বাংলাদেশের জন্য। এ ম্যাচে না জিতলে চাপে থেকেই শেষ ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হতে হতো জেমি ডের দলকে। শেষ পর্যন্ত শেষ হাসিটা হেসেছে বাংলাদেশই।
প্রথমার্ধে বাংলাদেশের খেলা ছিল এলোমেলো। যদিও বলের দখলে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। এই অর্ধে বরং পাকিস্তান বেশ কয়েকবার বাংলাদেশের রক্ষণকে বেসামাল অবস্থায় পেয়েছিল। ৯ মিনিটের সময় পাকিস্তানের মোহাম্মদ আলীর হেড দারুণভাবে কর্নারের বিনিময়ে ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল। ৩৮ মিনিটে সাদউদ্দীন আর ৪২ মিনিটে মাহবুবুর রহমান সুফিলের দূর থেকে নেওয়া দুটি শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ বেশ গুছিয়ে খেলতে নামে। মধ্যমাঠে জামাল ভূঁইয়া, বিপলু আহমেদ আর মামুনুল ইসলাম সামনের দিকে বেশ কিছু বল বাড়ালেও অ্যাটাকিং থার্ডে সুফিল আর সাদ সুবিধা করতে পারছিলেন না। এই অর্ধের শুরুতেই পাকিস্তানের সাদ্দাম হোসেনের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৫৫ মিনিটে মোহাম্মদ আলীর আরও একটি প্রচেষ্টা গোলরক্ষক শহীদুল প্রতিহত করেন। ৫৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বিপলুর শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন পাকিস্তানের গোলরক্ষক ইউসুফ বাট। ৬৯ মিনিটে মাসুক মিয়া জনির হেড আবারও রক্ষা করেন পাকিস্তানি গোলরক্ষক। ৮২ মিনিটে একটি সেটপিস থেকে বল পেয়ে তপু বর্মণ শট নিলেও তা পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়। ৮৫ মিনিটে বিশ্বনাথ ঘোষের লম্বা থ্রো গোলমুখে এসে পড়লে জটলার মধ্য থেকে হেড করে তা জালে পাঠিয়ে দেন তপু বর্মণ। তপু প্রথম ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষেও পেনাল্টি থেকে গোল করেছিলেন। ম্যাচের শেষ দিকে বাংলাদেশ আরও তিনটি সুযোগ তৈরি করলেও তা থেকে সফল হতে পারেনি মামনুল, জামাল ও মাসুক মিয়া জনিদের ব্যর্থতায়। তবে এক গোলে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের জন্য সেগুলো খুব একটা আফসোসের কারণ হয়নি।
গোল করে উদ্দাম উল্লাসে মেতেছিলেন তপুসহ বাংলাদেশের অন্য ফুটবলাররা। পাকিস্তানের বিপক্ষে গোল, উল্লাসটা উদ্দাম তো হবেই। ম্যাচ শেষে গ্যালারির গর্জনটাও হলো তীব্র। এই উল্লাস আরও তীব্রতা পাবে ঘরের মাঠে সাফে বাংলাদেশ যদি আবারও ২০০৩ সালকে ফিরিয়ে আনতে পারে। সেমির পথে পা বাড়িয়ে সে উপলক্ষ ফিরিয়ে আনার ইঙ্গিত দিয়েছেন ফুটবলাররা। এখন তারা বাকি পথটুকু কীভাবে পাড়ি দেন, সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে গোটা বাংলাদেশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here